কেন্দ্র পর্যাপ্ত পরিমাণে ভ্যাকসিন পাঠায়নি রাজ্যকে। যে কারণে সবাইকে টিকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। রাজ্য সরকার নিজের খরচায় টিকা কিনে রাজ্যবাসীকে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার অন্যান্য রাজ্যগুলিকে যে পরিমাণ টাকা পাঠাচ্ছে, তার থেকে অনেক কম পরিমাণ টিকা এসে পৌঁছাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। গত কয়েক মাস ধরেই নবান্ন থেকে বারে বারে এই কথা গুলি বলে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে টিকা পাঠানোর আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। সেই সময় নিরুত্তর ছিল কেন্দ্র। অবশেষে বাদল অধিবেশনে টিকার ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আনা মমতার সকল অভিযোগই সত্যি বলে প্রমাণিত হল।
শুক্রবার অধিবেশনে সাংসদ মালা রায়ের প্রশ্নের উত্তরে সত্যি কথাটাই জানিয়ে দিল কেন্দ্র। এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে একটি তথ্য প্রকাশ করা হয় যেখানে কোন রাজ্যে কত পরিমাণ করোনা ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়েছিল, তার একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। তালিকায় দেখা গেছে, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট এবং কর্ণাটক, এই তিন রাজ্যে সবথেকে বেশি পরিমাণ ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়েছে। সেই তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে অনেক কম ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন : সংসদ খোলার পর ভ্যাকসিন নিলেন রাহুল, দু’দিন তাঁর অনুপস্থিতি নিয়ে জল্পনা
দেশের কোন শহরে কত পরিমাণে টিকাকরণ হয়েছে, এই বিষয়ে একটি সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসে কিছুদিন আগে। সেই রিপোর্টে দেখা যায়, কলকাতায় সব থেকে বেশি টিকাকরণ হয়েছে। প্রায় ৬০% বেশি মানুষ টিকার প্রথম ডোজ পেয়ে গেছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গে টিকারা আকাল দেখা দিয়েছে। মমতা কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, টিকা নিয়ে রাজনীতি করছে কেন্দ্র। তাহলে কী সেটাই সত্যি হল ?
আরও পড়ুন : যোগী-মোদির রাজ্যে তৃণমূলের বার্তা নিয়ে যাবেন মমতা
পশ্চিমবঙ্গে টিকা নিতে আগ্রহী প্রায় সকলেই। যে কারণে টিকা নষ্ট হওয়ার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ঘটেনি এ রাজ্যে। এমন ঘটনা ঘটেছে যেখানে দেখা গেছে, টিকা না নিয়ে ফিরে যেতে হয়েছে প্রচুর মানুষকে। প্রথম ডোজ সম্পন্ন হলেও, এখনও দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন হয়নি বহু বঙ্গবাসীর।