নয়াদিল্লি: কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গের উপস্থিতিতে গতকাল দিল্লির হেরাল্ড হাউসে তল্লাশি চালাতে চেয়েছিল ইডি৷ কিন্তু তিনি হাজির হতে না পারায় ইয়ং ইন্ডিয়ান লিমিটেডের অফিস সিল করে দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ তাঁকে বৃহস্পতিবার তলব করায় এদিন রাজ্যসভায় ইডির বিরুদ্ধে রীতিমতো খড়গহস্ত হলেন মল্লিকার্জুন৷ উত্তেজিত হয়ে তিনি বলেন, ‘সংসদ চলাকালীন কী করে ওরা আমাকে তলব করল?’ এ নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গেও কথা কাটাকাটি হয় তাঁর৷ পীযূষ গোয়েল বলেন, ‘কেউ যদি অন্যায় করে তাহলেও এজেন্সি তার কর্তব্য করে যাবে৷’
ন্যাশনাল হেরাল্ডের আর্থিক নয়ছয় মামলার তদন্ত করছে ইডি৷ সেই মামলার তদন্তে গতকাল ইয়ং ইন্ডিয়ান লিমিটেডের অফিসে হানা দেয় তারা৷ এই কোম্পানির শেয়ার হোল্ডার হলেন রাহুল গান্ধী ও সোনিয়া গান্ধী৷ প্রবীণ কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর৷ ইডি তাঁর উপস্থিতিতে গতকাল তল্লাশি করতে চেয়েছিল৷ কিন্তু তিনি না যাওয়ায় ইডি অফিসটি সিল করে দেয়৷ তদন্তকারী এক অফিসার জানান, মল্লিকার্জুন খাড়গে এলেই অফিস খুলে দেওয়া হবে৷ তাই বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় তাঁকে তলব করে ইডি৷ যা নিয়ে সরব হয়েছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ৷ টুইটে তিনি লেখেন, সংসদে অধিবেশনের মাঝে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতাকে তলব করেছে ইডি৷ তিনি সাড়ে ১২টার আগেই চলে গিয়েছে৷ এটা হল মোদিশাহির নীচে নামার নতুন নমুনা৷
ইডির তলব নিয়ে এদিন রাজ্যসভায় প্রশ্ন তোলেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে৷ তিনি বলেন, ‘আমাকে দুপুর সাড়ে ১২টায় হাজির হতে হবে৷ আমি আইন মেনে চলতে চাই৷ কিন্তু অধিবেশনের মাঝে তলব করা কি যুক্তিযুক্ত?’ গতকাল গান্ধীদের বাড়ি পুলিস দিয়ে ঘিরে ফেলা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেস নেতা৷ তাঁর প্রশ্ন, ‘এভাবে কি গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব? আমরা ভয় পাই না৷ আমরা লড়াই চালিয়ে যাব৷’
তখন রাজ্যসভার বিজেপি নেতা পীযূষ গোয়েল কংগ্রেস নেতার প্রশ্নে বলতে ওঠেন৷ তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাজে সরকার হস্তক্ষেপ করে না৷’ এরপরেই কটাক্ষ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘হয়তো কংগ্রেস জমানায় হত, কিন্তু এখন কেউ কোনও অন্যায় করলে এজেন্সি তার কাজ করবেই৷’