লখনউ: উত্তরপ্রদেশে আইএএস অফিসার পদে ব্যাপক রদবদল। ২১ জন আইএএস অফিসারকে বদলি করা হয়েছে এক ধাক্কায়। কানপুর-সহ নয় জেলায় জেলাশাসককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কানপুরের জেলাশাসক নেহা শর্মাকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সচিব বিশাখকে জেলাশাসক করা হয়েছে। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ দফায় দফায় বৈঠক করেন প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে। তারপরেই আইএএস অফিসারদের গণহারে বদলির নির্দেশ জারি করা হয়।
কানপুরের গোষ্ঠী সংঘর্ষ নিয়ে মুখ পুড়েছে শাসকদলের। সেই কারণেই দ্রুত সরানো হল জেলাশাসককে। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পরেই যোগী পুলিস কর্তাদের কড়া নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, অপরাধীদের কড়া হাতে দমন করতে হবে। কোনও অপরাধীকে রেয়াত করা যাবে না। তাঁর ওই কড়া বার্তার পরেও রাজ্যে খুন, জখম, ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলেছে।
রবিবারই উন্নাওয়ে এক দলিত কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণ করে দুষ্কৃতীরা। এখানেই শেষ নয়। এর পরে তাকে নৃশংসভাবে ইট, পাথর দিয়ে মারা হয়। শেষে মৃতদেহ রেল লাইনে ফেলে পালায় দুষ্কৃতীরা। একের পর এক খুন, জখমের ঘটনায় বিরোধীরা, বিশেষ করে সমাজবাদী পার্টি মুখ্যমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। সব মিলিয়ে চাপেই রয়েছেন যোগী। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এর জন্যই তড়িঘড়ি আইএএস অফিসারদের রদবদল ঘটিয়ে প্রশাসনে একটা নাড়াচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: GDP India: মুডিজের পর এবার বিশ্বব্যাঙ্ক, ভারতের আর্থিক উন্নয়নের হার ছেঁটে ফেলে নতুন করে পূর্বাভাস