গান্ধীনগর: প্রযুক্তি এখন নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হয়ে উঠেছে। নিরাপত্তা বাহিনীতে থাকার জন্য শুধুমাত্র শারীরিক প্রশিক্ষণই যথেষ্ট নয়, এখন বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিরাও শারীরিকভাবে সুস্থ না হওয়া সত্ত্বেও নিরাপত্তা খাতে অবদান রাখতে পারেন। শনিবার গুজরাতের গান্ধীনগরে রাষ্ট্রীয় রক্ষা বিশ্ব বিদ্যালয়ের উদ্বোধনে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘প্রাইভেট সিকিউরিটি’ এর ক্ষেত্রটি প্রসারিত হচ্ছে৷ দেশজুড়ে অনেক স্টার্টআপ রয়েছে৷ যা এই সেক্টরকে আরও প্রসারিত করবে৷
দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার সংস্কারের প্রসঙ্গ তুলে মোদি আরও বলেন, স্বাধীনতার পর দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সংস্কারের প্রয়োজন ছিল। একটি ধারণা তৈরি হয়েছিল যে, আমাদের ইউনিফর্ম পরিহিত কর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। কিন্তু তা এখন পরিবর্তিত হয়েছে। মানুষ এখন ইউনিফর্ম পরা কর্মীদের দেখে, সাহায্যের আশ্বাস পায়। দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য চাপমুক্ত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সময়ের প্রয়োজন৷ আর রাষ্ট্রীয় রক্ষা বিশ্ব বিদ্যালয়ের দেশের অন্যতম আকর্ষণীয় কেন্দ্র হয়ে উঠবে৷ মোদির কথায়, ‘‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, রাষ্ট্রীয় রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় একটি আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠবে। এটি একটি পুলিস বিশ্ববিদ্যালয় নয়, এটি প্রতিরক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়৷ যা প্রতিরক্ষার জন্য জনশক্তি তৈরি করবে।’’
করোনাকালে বহু ভিডিয়ো ক্লিপ সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়৷ যেখানে আমাদের পুলিস বাহিনীর মানবিক ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের ইতিবাচক দিকগুলি ফুটে উঠেছিল৷ মোদি বলেন, ‘‘আগে বিশ্বাস করা হতো প্রতিরক্ষা মানেই ইউনিফর্ম, পাওয়ার এবং পিস্তল। সময় এখন পরিবর্তিত হয়েছে এবং প্রতিরক্ষা এখন বিভিন্ন রূপ নিয়েছে।’’
আরও পড়ুন-Ukraine-Russia Conflict: যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে ৮০০ পড়ুয়াকে দেশে ফেরান কলকাতার মহাশ্বেতা
এদিন স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গান্ধীনগরে রাষ্ট্রীয় রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনটি দেশকে উৎসর্গ করেছেন। শীঘ্রই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনে ভাষণও দেবেন তিনি।’’ এদিনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রত এবং মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলও উপস্থিত ছিলেন।