নয়াদিল্লি: গত ডিসেম্বরে নাগাল্যান্ডের ১৪ নিরীহ সাধারণ নাগরিকের খুনের (Nagaland Killings) ঘটনায় জড়িত সেনাকর্মীদের বিরুদ্ধে “যথাযথ ব্যবস্থা” নেওয়া হবে। বুধবার সেনার বার্ষিক সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই বললেন সেনাপ্রধান জেনারেল এমএম নারাভনে৷ তিনি বলেন, ‘‘৪ ডিসেম্বরের ঘটনার তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে যথাযথ ও সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে’’৷
উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য নাগাল্যান্ডের মন জেলার ঘটনায় “দুঃখজনক” বলে একজন সেনাকর্মীর মৃত্যুর প্রসঙ্গও তুলে ধরেন সেনাপ্রধান৷ বলেন, মেজর জেনারেলের নেতৃ্ত্বে সেনা এককভাবে গোটা ঘটনার তদন্ত করছে৷ ইতিমধ্যে তদন্তকারী দল ওটিং গ্রাম পরিদর্শন করেছে৷ যেখানে মৃত জনের মধ্যে ১২ জনের বাড়ি রয়েছে৷ অতর্কিত হামলা স্থলটিও পরিদর্শন করতে এবং মৃত্যুর কারণখতিয়ে দেখতে ২৯ ডিসেম্বর তদন্তকারী দল গিয়েছিল।
তবে, স্থানীয়রা সেনা একক তদন্তের “বিশ্বাসযোগ্যতা” নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে৷ কনিয়াক ইউনিয়নের অভিযোগ,তদন্তকারী দল সাক্ষীদের এমন কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছে, তাতে বহু সন্দেহ রয়েছে এবং সাক্ষীরা সেই সব প্রশ্নের জন্য অসন্তুষ্ট। অতএব, বিচার বিলম্বিত হওয়া ন্যায়বিচার অস্বীকার করার সমান৷
যাইহোক, এই হত্যাকাণ্ডে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে৷ বিশেষ করে, বিতর্কিত সশস্ত্র বাহিনী (বিশেষ ক্ষমতা) আইন, বা AFSPA, যা উত্তর-পূর্বের বেশিরভাগ অংশ জুড়ে কার্যকর, তা প্রত্যাহারের দাবি উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, AFSPA-এর অধীনে “অশান্ত এলাকায়” নিযুক্ত নিরাপত্তা কর্মীদের ব্যাপক ক্ষমতা দেওয়া হয়৷ এবং নিহতদের স্বজনদের পাশাপাশি নাগাল্যান্ড সরকার এবং সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীরা ভয় পায় যে, কেন্দ্র অপরাধমূলক অভিযোগ থেকে জড়িত সেনাকর্মীদের রক্ষা করতে এই আইন চালু করেছে।
আরও পড়ুন-আদালতের নির্দেশ না মানলে গঙ্গাসাগরে যাওয়া যাবে না : মমতা
সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ বলেন, ‘ওটিঙয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গতিবিধির খবর পেয়েছিল সেনা। সেই মতো ওই এলাকায় যায় ২১ কমান্ডো। একটি গাড়িকে দাঁড়ানোর কথা বলা হলেও, সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে তা চলে যায়। এর পর সন্দেহের বশে গাড়ির উপর গুলি চালায় সেনা। গাড়িতে থাকা ৮ জনের মধ্যে ৬ জন ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে বোঝা যায়, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই গুলি চলেছে। আহত দু’জনকে জওয়ানরাই হাসপাতালে নিয়ে যান।’