নয়াদিল্লি: ৯ বছরের দলিত শিশুকন্যাকে ধর্ষণের পর খুনের ঘটনায় উত্তাল দিল্লি৷ হাথরসের স্মৃতি উস্কে পরিবারকে না জানিয়ে নির্যাতিতার দেহ দাহ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে৷ বুধবার এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা দায়ের করেছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন৷ পাশাপাশি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার আরও তথ্য চাওয়া হয়েছে ডিসিপি (দক্ষিণ-পশ্চিম)-এর কাছে৷
আরও পড়ুন: দিল্লিতে ধর্ষিতা দলিত শিশুর বাড়ি গেলেন রাহুল
National Commission for Protection of Child Rights (NCPCR) takes suo motu cognizance of matter where a minor girl was allegedly raped, murdered, and cremated without her parents' consent in Delhi.@NCPCR_ pic.twitter.com/P5A4z0I8Vu
— Prasar Bharati News Services & Digital Platform (@PBNS_India) August 4, 2021
খাস দিল্লিতে এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিরোধীরা৷ আজ নির্যাতিতার বাড়ি যান রাহুল গান্ধী৷ পরিবারের সঙ্গে দেখা করে ন্যায় বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন কংগ্রেস নেতা৷ পরে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। ওনারা ন্যায় বিচার চান, কিন্তু তাঁরা বিচার পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন। আমরা ওনাদের সাহায্য করব।’ অপরদিকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল নির্যাতিতার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন৷
রবিবার বিকেল ৫টা নাগাদ দিল্লির ক্যান্টনমেন্ট এলাকার এক শিশু মাকে জানিয়ে ঠান্ডা জল আনতে শ্মশান চত্বরে গিয়েছিল। তারপর আর বাড়ি ফেরেনি। তাকে খোঁজা শুরু হয়। ওই শ্মশানের পুরোহিত রাধে শ্যাম শিশুর বাবা-মাকে জানায়, জলের কুলারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছে মেয়েটি। বাঁ হাতের কবজি এবং কনুইয়ের অংশ পুড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ঠোট নীল হয়ে গিয়েছে, এমনটাই দাবি করেন পুরোহিত। নাবালিকার মা সুনীতা দেবী পুলিশ ফোন করে পুরো ঘটনা জানাতে চাইলে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়৷ পুরোহিত ছাড়াও আরও দুই ব্যক্তি তাঁদের পুলিশে খবর দিতে বারণ করে৷ মাকে ভয় দেখিয়ে জানায়, পুলিশ কিংবা ডাক্তারদের খবর দিলে ময়নাতদন্তে নাবালিকার অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলি চুরি করে নেওয়া হবে৷
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কী দিদিকেই চাইছেন সাংসদ দেব ?
শিশুটির বাবা মায়ের অভিযোগ, তাঁদের সম্মতি ছাড়াই পুরনো নাঙ্গাল শ্মশানে নাবালিকাকে দাহ করা হয়। ঘটনা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। এলাকার ২০০ জন মিলে শ্মশান ঘেরাও করে। এর পরেই এই ঘটনার নিন্দা করে বিরোধীরা৷