নয়াদিল্লি: দেশের প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ করে টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। কাল টাকা ফিরিয়ে আনার সেই প্রতিশ্রুতি দিয়েই ২০১৪ সালে কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসে বিজেপি। যদিও তা সাত বছরেও কার্যকর হয়নি। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের অ্যাকাউন্টে নগদ টাকা পাঠানোর দাবি তুলল বিরোধী শিবির। তবে সেই টাকার অঙ্ক বিপুল নয়।
লোকসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে বছর তিনের আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বিরোধী শিবির। শুক্রবার বৈঠক করেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্তরের নেতানেত্রীরা। কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর ডাকা সেই ভার্চুয়াল বৈঠকেই সাধারণ মানুষের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যা ওই বৈঠকের যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে জানানো হয়েছে।
ওই যৌথ বিবৃতিতে মোট ১১দফা দাবি করা হয়েছে। যার দ্বিতীয় দফায় ছিল ওই নগদ টাকা দেওয়ার কথা। বিরোধী শিবিরের দাবি, যে সকল পরিবার আয়করের অধীনে নেই তাদের প্রতি মাসে ৭৫০০ টাকা করে দেওয়ার ব্যবস্থা করুক কেন্দ্র। অবিলম্বে এই নীতি কার্যকর করার দাবিও করা হয়েছে। যাতে ওই সকল পরিবার জীবন ধারণের অন্যতম উপাদান খাদ্য সামগ্রী এবং অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ক্রয় করতে পারে।
এছাড়াও বাকি দাবিগুলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে করোনার টিকাকরণ। ১১দফা দাবির প্রথমেই ছিল এই টিকার বিষয়টি। এছাড়াও কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবি করা হয়েছে বিরোধীদের যৌথ বিবৃতিতে। কৃষকদের সহায়ক মূল্য বৃদ্ধির দাবিও করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সরকারি বা রাষ্ট্রায়ত্ত্ব শিল্পের বেসরকারিকরণ রোধ এবং ক্ষুদ্র শিল্পের ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে নিয়ম শিথিল করার দাবিও তোলা হয়েছে।