গুজরাত: গুজরাতের আমেদাবাদে (Ahmedabad, Gujarat) শুরু হয়েছে উত্তরায়ণ উৎসব(Festival of Uttarayan)। সোমবার সেখানেই ঘুড়ির সুতোয় গলা কেটে মৃত্যু হল ৬ জনের। মৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু। আহত হয়েছেন ১৭৬ জন। সূত্রের খবর, ১ থেকে ১৫ জানুয়ারি উত্তরায়ণ উৎসব উপলক্ষ্যে স্বেচ্ছাসেবকরা (Volunteers) ঘুড়ি উড়িয়েছেন (Kite Flying)। সপ্তাহান্তে রাজ্য জুড়ে চলেছে ঘুড়ি ওড়ানোর উৎসব।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘুড়ির সুতোয় কড়া মাঞ্জা দেওয়া ছিল। এর জেরেই গলা কেটে অতিরিক্ত রক্তপাত হয়ে মারা গিয়েছেন ওই ৬ জন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে যে শিষু রয়েছে তাদের মধ্যে একজনের নাম কীর্তি। রবিবার ভাবনগরে বাবার সঙ্গে স্কুটারে চেপে যাচ্ছিল দু’বছরের কীর্তি। তার গলায় ঘুড়ির সুতো আটকে গেলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। শনিবারও বিসনগরে মায়ের সঙ্গে বাড়ি ফেরার পথে ঘুড়ির সুতোয় গলা কেটে মৃত্যু হয় তিন বছরের কিসমতের। রাজকোটের বাসিন্দা ঋষভ বর্মারও ঘুড়ির সুতো লেগে মৃত হয়। আজিদাম থানার পুলিশ জানিয়েছে, বাবা-মায়ের সঙ্গে বাইকে ঘুড়ি কিনে ফিরছিল ঋষভ। মৃতদের মধ্যে বাকিরা হলেন, বরোদায় স্বামীজি যাদব, গান্ধীধামের নরেন্দ্র বাঘেলা ও গান্ধীনগরের অশ্বিন গাদভি।
এদিকে, গুজরাতের আমেদাবাদে (Ahmedabad, Gujarat) উত্তরায়ণ উৎসব(Festival of Uttarayan) চলাকালীন ১৬০০টিরও বেশি পাখি আহত (Birds Injured) হয়েছে। আহত পাখিগুলিকে উদ্ধারের পর জীববিদ্যা চ্যারিটেবল ট্রাস্ট (Jivdaya Charitable Trust)-এ নিয়ে আসা হয়। বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, ১ থেকে ১৫ জানুয়ারি উত্তরায়ণ উৎসব উপলক্ষ্যে স্বেচ্ছাসেবকরা (Volunteers) ঘুড়ি উড়িয়েছেন (Kite Flying)। ঘুড়ির সুতোতেই (Kite Threads) পাখিগুলি আহত হয়েছে বলে খবর।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার (News Agency) দেওয়া খবর অনুযায়ী, এমাসের ১ তারিখ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে ১৬০০টি পাখিকে আহত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে ১৪ জানুয়ারি ৪৫৫টি পাখিকে আনা হয় এবং ১৫ তারিখ বিকেলে ৩টে পর্যন্ত আরও ২০০টি পাখিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার (Rescue) করে নিয়ে আসা হয় জীববিদ্যা চ্যারিটেবল ট্রাস্টে।