কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: সাম্প্রদায়িক উস্কানি (spreading communal disharmony) দেওয়ার অভিযোগে দিল্লির দুই মহিলা সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছিল। বুধবার তাঁদের বিরুদ্ধে সমস্ত ফৌজদারি কার্যবিধি স্থগিত করল সুপ্রিম কোর্ট। ধৃত সাংবাদিক সমৃদ্ধি সকুনিয়া এবং স্বর্ণা ঝা’এর বিরুদ্ধে ত্রিপুরা পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি (অপরাধী ষড়যন্ত্র), ১৫৩এ (ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা প্রচার) এবং ৫০৪ (শান্তি ভঙ্গের উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃত অবমাননা) এর অধীনে মামলা করাছিল।
ওই দুই মহিলা সাংবাদিক এবং মিডিয়া সংস্থা আদালতের কাছে তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর বাতিলের দাবি করেছে। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ ওই দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধি স্থগিত করা ছাড়াও এফআইআর বাতিলের দাবিতে ত্রিপুরার প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছে।
ত্রিপুরায় সাম্প্রতিক হিংসা নিয়ে খবর করে বিপ্লব দেব সরকারের রোষের মুখে পড়েছিলেন এই দুই মহিলা সাংবাদিক। ১৫ নভেম্বর রাতে ত্রিপুরা থেকে অসমের গুয়াহাটি যাবার পথে পুলিশ তাঁদের আটক করেছিল। ত্রিপুরা সীমানা সংলগ্ন করিমগঞ্জ জেলার নিলাম বাজারের কাছ থেকে অসম পুলিশ তাঁদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
১৫ নভেম্বর সকালে অসম পুলিশ তাঁদের ত্রিপুরার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নিয়ে খবর করতে সমৃদ্ধি সকুনিয়া এবং স্বর্ণা ঝা ১১ নভেম্বর ত্রিপুরায় গিয়েছিলেন। ত্রিপুরা পুলিশের অভিযোগ, ওই দুই সাংবাদিক ত্রিপুরায় সাম্প্রদায়িক শান্তি নষ্ট করার উদ্দেশ্যে ভুয়ো ও ভিত্তিহীন খবর প্রকাশ ও সম্প্রচার করেছিলেন।
আরও পড়ুন- উত্তরপ্রদেশের স্কুলে ১৭ ছাত্রীকে মাদক খাইয়ে যৌন হেনস্থার অভিযোগ
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ত্রিপুরায় সাংবাদিকদের ফিরিয়ে আনতে ধর্মনগর থেকে বেশ কয়েকজন মহিলা পুলিশ কর্মীকে করিমগঞ্জ জেলায় পাঠানো হয়। এইচডব্লিউ নিউজ নেটওয়ার্কের কর্মরত দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আগেই সাম্প্রদায়িক সংঘাত ছড়ানো এবং অপরাধমূলক পরিকল্পনায় ইন্ধন সংক্রান্ত ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক কর্মী ওই দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে উনকোটি জেলার ফটিকরোয় থানায় এফআইআর দায়ের করেন। এ ছাড়া সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে কাকরাবন ও কুমারঘাট থানায় আরও দুটি মামলা রয়েছে। ধর্মীয় দাঙ্গা বাধানোর অভিযোগে এক মহিলা তাঁদের বিরুদ্ধে কুমারঘাট থানাতেই এফআইআর করেছেন। যদিও ত্রিপুরা পুলিশের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন তাঁরা। স্বর্ণা ঝা টুইট করে জানান, তাঁরা কোনও সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেননি। একটি মসজিদের উপর ভাঙচুর চালানোর বিষয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছিলেন।