হিমাচল প্রদেশ: চুক্তিভিত্তিক সহশিক্ষিকা হিসেবে স্কুলে শিক্ষকতা করতেন মামলাকারী। প্রবেশন পর্বে থাকাকালীন গর্ভবতী হয়ে পড়ায় তাঁর চাকরি বাতিল হয়। শিক্ষিকা হিসেবে তাঁর ভূমিকা সন্তোষজনক নয় বলে দাবি করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে শ্রম ট্রাইব্যুনালের মত, মাতৃত্বকালীন ছুটি না দেওয়ার বাহানায় শিক্ষিকার কাজ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
আদালতের দ্বারস্থ হয়ে শিক্ষিকা জানান, গর্ভবতী হয়ে পড়ার কারণে মাঝে মাঝেই ছুটি নিতে হয়েছিল। সেই তথ্য স্কুলের কাছে রয়েছে। পরে মৌখিকভাবে জানানো হয়, স্কুলের শীতকালীন ছুটির পর মাতৃত্বকালীন ছুটি লাগবে। ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে স্কুল। তাদের দাবি, গর্ভবতী হওয়ার সংবাদ ওই শিক্ষিকা স্কুলকে জানাননি। ছুটির আবেদনও করেননি। তাই চাকরির নিয়ম অনুসারে এবং কাজ সন্তোষজনক না হওয়ায় চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশবাসীকে ‘রামজ্যোতি’ জ্বালানোর ডাক মোদির
সম্প্রতি স্কুলের আবেদন খারিজ করে হাইকোর্ট বলেছে, মা হওয়া মানবাধিকারের পর্যায়ে পড়ে। যে কোনও মূল্যে তাকে রক্ষা করতে হবে। তাই মেটারনিটি বেনিফিট অ্যাক্ট (Maternity Benefit Act) যেখানেই প্রয়োজন, সেখানে অবশ্যই তা প্রয়োগ করতে হবে। হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্ট (Himachal Pradesh High Court) জানিয়েছে, মানবজাতির অস্তিত্বের স্বার্থে মাতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। তাই গর্ভবতী মহিলার প্রয়োজনীয় সব সহায়তা ও সুযোগ থাকা দরকার।
বিচারপতি বিবেক সিং ঠাকুরের মন্তব্য, গর্ভবতী মায়ের সন্তানের জন্ম দেওয়া এবং সেই শিশুর যত্ন করা মৌলিক অধিকার। সমাজের অস্তিত্বের স্বার্থেই এই ভূমিকা পরম পুণ্যের। এই কঠিন কাজের জন্য তার যা কিছু সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজন, তার ব্যবস্থা রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
আরও খবর দেখুন