নয়াদিল্লি: রাজঘাটে (Rajghat) ধরনায় বসলেন তৃণমূলের (TMC) মন্ত্রী (Minister), সাংসদরা (MP)। সোমবার দুপুরে এই ধরনা শুরু হয়। এরপর বিকেল সাড়ে ৪ টেয় ছাত্র যুবদের নেতৃত্বে সংসদ ভবন অভিযান হবে। বিকেলে ফের বৈঠক তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লির (Delhi) বাড়িতে। উপস্থিত থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) সহ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতৃত্ব। আম্বেদকর ভবনে তৃণমূলের নেতা কর্মীদের বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ন্যায্য প্রাপ্য টাকা থেকে বঞ্চিত একশো দিনের কর্মীদের বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হয়েছে আম্বেদকর ভবনে। বেশিরভাগ কর্মী সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন। এদিন বেলা ১টা নাগাদ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাংসদ, মন্ত্রীদের নিয়ে রাজঘাটে পৌঁছে যান। এদিন একশো দিনের কাজের কর্মীদের দেখানো হবে একশো দিনের কাজের টাকা দেয়নি কেন্দ্র। অথচ সেই টাকায় কীভাবে সেন্ট্রাল ভিস্তা বানানো হয়েছে। এদিন তৃণমূলের এই কর্মসূচি ঘিরে রাজঘাট মুড়ে ফেলা হয় কড়া নিরাপত্তায়। তৃণমূল এখানে নরমপন্থী অবস্থান নিয়েছে।
পারলে আমাকে আটকান বলে দিল্লি পৌঁছে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার রাতে দিল্লি পৌঁছেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বলেন, দিল্লির মাটিতে দাঁড়িয়ে বলে গেলাম, পারলে আমাকে আটকান। তবে আমি তদন্তকারী সংস্থাকে কিছু বলিনি। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমার মুখ দিয়ে আপনাদের কথা বসাবেন না। আমার যা বলার ছিল, আমি তা বলেছি।
আরও পড়ুন: ইডি-সিবিআই তদন্তের প্রশ্নে পাশে সঙ্ঘ পরিবার
দিল্লি পৌঁছেই তিনি দলের মন্ত্রী, সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক হয় সাংসদ সৌগত রায়ের বাংলোতে। সেখানে খাওয়াদাওয়ার এলাহি ব্যবস্থা ছিল। লনে বিশাল ম্যারাপ বাঁধা হয়। বাসে যাওয়া তৃণমূল কর্মীদের বিভিন্ন ধর্মশালায় রাখার ব্যবস্থা করা হয়। বিধায়ক, মন্ত্রীরা অনেকে সাংসদদের বাংলোতে থাকছেন। অনেকে বঙ্গভবনেও উঠেছেন।
আরও খবর দেখুন