বিহারে শিক্ষক চাকরিপ্রার্থীদের উপর নির্মম অত্যাচার। পাটনার অতিরিক্ত জেলাশাসক কে কে সিংয়ের লাঠির ঘায়ে এক যুবক সোমবার গুরুতর জখম হলেন। তাঁর হাতে জাতীয় পতাকা ছিল। ওই যুবককে মারতে দেখা যায় এডিএমকে। যুবকের কান ফেটে গলগল করে রক্ত বেরতে থাকে। পুলিশ যুবকটিকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায়। সেই দৃশ্যের একটি ভিডিয়ো মুহূর্তে ভাইরাল হয়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, নিয়োগে বিলম্বের প্রতিবাদে চাকরিপ্রার্থীরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন এদিন। অভিযোগ, বিনা প্ররোচনায় পুলিশ তাঁদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, লাঠি চালায়। ওই যুবক রাস্তায় বসে পড়েন। তারপরই শুরু হয় তাঁর উপর অত্যাচার।
ভিডিয়োটি ভাইরাল হতেই প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। খবর যায় উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের কাছে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে পাটনার জেলাশাসককে ফোন করেন। জেলাশাসক পাটনা সেন্ট্রাল এসপি এবং ডিডিসির নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। সূত্রের খবর, এই ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ উপমুখ্যমন্ত্রী। ঘনিষ্ঠ মহলের খবর, জেলাশাসকের কাছে তিনি জানতে চান, এডিএমকে এভাবে মারার অধিকার কে দিয়েছে। তেজস্বী জেলাশাসককে ওই এডিএমের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। জেলাশাসকও এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
দিন কয়েক আগেই উপমুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনকে স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ ভাবমূর্তি বজায় রাখার জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেন। তিনি মন্ত্রী এবং আমলাদের নতুন গাড়ি কেনার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। বয়সে বড় কেউ যেন মন্ত্রীদের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম না করেন, তার দিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে। এমনিতেই নতুন জোট মন্ত্রিসভার অনেক সদস্যের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ সামনে আসায় অস্বস্তিতে রয়েছে নীতীশ সরকার। শপথ নেওয়ার পরেই আরজেডি নেতা তথা আইনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একটি পুরনো মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। বিজেপি এসব নিয়ে প্রচার শুরু করেছে। তার মধ্যেই এডিএমের লাঠিপেটার ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ায় অস্বস্তি আরও বেড়ে গিয়েছে। সেই কারণেই তেজস্বী দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।