মুম্বই: হীনমন্যতার (Inferiority Complex) জন্য অনেকেই অবসাদে চলে যান। কিছু কিছু খামতি তাঁদের নিরাপত্তার (Insecurity) অভাবে ভোগায়। অনেক খ্যাতনামা ব্যক্তি এই হীনমন্যতায় ভুগতেন। সে মিঠুন চক্রবর্তী থেকে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় তালিকায় অনেক নামই সামনে আসে যাঁরা নিজেরাই এই বিষয়টি প্রকাশ্যেই বলেছেন। এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেতা আমির খান (Aamir Khan)। তিনি বলেন, আমার উচ্চতার জন্য হীনমন্যতায় ভুগতাম। এক ইন্টারভিউতে বলিউডের (Bollywood) মিস্টার পারফেকশনিস্ট এই প্রেক্ষিতে তাঁর সাফল্যের জন্য সৎ প্রচেষ্টাকেই কারণ মনে করেন বলে জানিয়েছেন। অনেক দিন পর ‘সিতারে জমিন পর’ সিনেমা নিয়ে হাজির হচ্ছেন তিনি।
আমির ১৯৮৮ সালে কেয়ামত সে কেয়ামত তক সিনেমা দিয়ে তাঁর কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে শুরুর দিকে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকেন। সেই প্রেক্ষিতে দর্শকের হৃদয়কে যদি কাজ দিয়ে ছুঁয়ে দেওয়া যায় তাহলে এই উদ্বেগ অহেতুকই। পরে এমনটা উপলব্ধি করতে পারেন ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি উচ্চতার নায়ক। অভিনেতা নানা পাটেকর একটি কথোপকথনে আমিরকে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি কি কখনও হীনমন্যতা বোধে ভুগতেন? তাতে আমির জানান, এমনটা আমার মনে হত। মনে করতাম উচ্চতার জন্য আমাকে মানুষ গ্রহণ করবেন না? এটা আমার ভয় ছিল। কিন্তু, পরে আমি বুঝতে পারি, আসলে এগুলো কোনও বাধা নয়। তাতে নানা আমিরকে পাল্টা জানান, অন্তত তোমার সুদর্শন মুখ রয়েছে। আামার মুখের দিকে তাকিয়ে দেখো, এটা নিয়ে আমি ৫০ বছর ধরে কাজ করে চলেছি।
আরও পড়ুন:দেবী চৌধুরানীর দুর্ধর্ষ টিজার প্রকাশ্যে
তবে এটাই প্রথম নয়। ২০১২ সালের তালাশ সিনেমার প্রমোশনের সময়ে আমির জানিয়েছিলেন, আমি ভয় পেতাম দর্শক এমনটা বলবেন। কিন্তু, আসলে দর্শক আমাকে পছন্দ করতেন। করোনা মহামারীর সময় আমির কাজ থেকে অব্যাহতি নেওয়ার বিবেচনা করেছিলেন। কিন্তু তাঁর পরিবারের অনুরোধে কাজ চালিয়ে যান। ২০২২ সালে ‘লাল সিং চাড্ডা’ সিনেমা সেভাবে সফল না হওয়ার পরে আমির পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে চেয়ে চলচ্চিত্র থেকে অব্যাহতি নিতে চেয়েছিলেন। পরে ফিরে এসে ছয়টি প্রকল্প হাতে নেন তিনি। জেনেলিয়া ডি সুজাকে নিয়ে তাঁর আগামী সিনেমা সীতারে জমিন পর পর্দায় আসতে চলেছে।
অভিনেতা মিঠুন একাধিক ইন্টারভিউতে বলেছেন, আমি গায়ের রং নিয়ে ভয়ে থাকতাম। বলিউডে আমাকে হিরো হিসেবে মেনে নেওয়া হবে কি না। পরে হীনমন্যতা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমি ঠিক করলাম, এমন নাচ করব যে পারফরম্যান্সের জেরে গায়ের রং কোনও বাধাই সৃষ্টি করতে পারবে না। সৌমিত্র চট্টাপাধ্যায়ও একাধিক ইন্টারভিউতে বলেছেন, আমার পরিবারের আমার দাদারা দেখতে অনেক সুদর্শন ছিলেন। অথচ তাঁরা সিনেমায় আসেননি। কিন্তু, আমি নায়কের চরিত্র অভিনয় করছি। নিজের মুখ নিয়ে খুব চিন্তায় থাকতাম। উল্লেখ্য, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বাংলা তথা ভারতীয় সিনেমায় সুদর্শন অভিনেতা হিসেবে দর্শকদের হৃদয়ে স্থান করে নেন।
দেখুন অন্য খবর: