কলকাতা: যেন রোমহর্ষক থ্রিলারের সিনেমার বিরতি। একদিনের ক্রিকেটের ৫০ ওভার শেষ। এবার কী হয়, কী হয়, উত্তেজনার শিকলে বাঁধা শহর-শহরতলি। সপ্তমীর নিদ্রাহীন রাতের পর মেয়ের বিয়ের পরদিনের মতো সকাল থেকে ঢুলছে মহানগর (Kolkata)। ঘুমের খোঁয়াড়ি কাটার আগেই স্নান। দিতে যেতে হবে অঞ্জলি (Anjali)। যে যত বড় পুজোই হোক, অষ্টমীর সকালে বরাবরের মতোই রবিবারও ছিল ফাঁকা ফাঁকা। রাস্তাঘাটে লোকজন নেই, যানবাহনও প্রায় ছিল না। সকাল গড়াতেই প্যান্ডেল প্যান্ডেলের মাইকে ভেসে আসছে জয়ং দেহি…সর্বমঙ্গলা মঙ্গলে…মন্ত্রোচ্চারণ।
একদিকে সদ্য চুলে শ্যাম্পু করা মায়ের পরিয়ে দেওয়া শাড়িতে লক্ষী-সরস্বতীর দল। অষ্টমীর সাজে থাকে একটা অন্য চেহারা। খুব চেনা, কিন্তু অচেনার দূরত্ব। ছেলেদের সারিতেও রয়েছে হলুদ, গেরুয়া, লাল পাঞ্জাবির তুলির টান। রেডিমেড ধুতিও পরেছেন কেউ কেউ। অঞ্জলি শেষ হলেই চিরাচরিত প্রথা মেনে সল্টলেকের একটি আবাসনে বসল আড্ডা। ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে জমিয়ে গল্প। কোথাও রাজ্যের অবস্থা। তো কোথাও ঠাকুর দেখার অভিজ্ঞতা। কেউ মজেছেন ভারতের খেলা নিয়ে তো কেউ পায়ের ফোসকাটা দেখাচ্ছেন বান্ধবীকে।
আরও পড়ুন: স্বামী স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার দক্ষিণ দিনাজপুরে
অষ্টমীর সকালে পাড়া ছেড়ে বেরনো নৈব নৈব চ। দুপুরে প্রায় সব পুজোতেই রয়েছে খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা। গানবাজনা, অন্ত্যাক্ষরী, মেমরি গেম খেলতে খেলতে গড়াল দুপুর। এখন অধিকাংশ পুজো কমিটিই ক্যাটারার ডেকে ভোগ রান্না করেন। বাড়ির হোলটাইমার গিন্নিদের নিশ্চিন্দির ছুটি। এক-এক জায়গায় একরকম মেনু। সাংবাদিক দেখে অনেকেই বসে পড়ার আমন্ত্রণ জানালেন। খেতে খেতেই গড়াল বেলা।
এরপরেই শুরু হবে থ্রিলারের পরবর্তী পর্ব। সেরার পুরস্কার পাওয়া পুজোগুলির টপলিস্ট থেকে বাদ পড়াগুলোর দিকেই শ্যেন নজর। আগের টিমের রান তাড়া করে বেড়ানো। অষ্টমীর রাত মানে উৎসবের এভারেস্ট। তাই দুপুরের পর থেকেই পরমাণু বিস্ফোরণের মতো ফেটে পড়ার অপেক্ষায় পল গুনছেন নগরবাসী।
আরও খবর দেখুন