ওয়েব ডেস্ক: উত্তাল বাংলাদেশ, ফিরল সেই অগাস্ট ২০২৪ এর ছবি। গা শিউরে ওঠা একের পর এক ঘটনা।ইনকিলাব মঞ্চ-র আহ্বায়ক ওসমান হাদির মৃত্যুর পর থেকে বাংলাদেশের (Bangladesh) বিভিন্ন প্রান্তে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে হিংসার আগুন। যে আগুনে পুড়ে ছাই সে দেশের অন্যতম সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছায়ানট (Bangladesh Chhayanaut Vandalised)। ‘ছায়ানট’-এ এ কার্যত তাণ্ডব চালালো কট্টরপন্থীরা।মাটিতে আছড়ে ফেলা হয়েছে তবলা, হারমোনিয়াম। ধানমণ্ডিতে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির অবশিষ্ট অংশও ভেঙে ফেলা হল। শেখ হাসিনার ছবিতে আগুন লাগিয়ে দিল বিক্ষুব্ধরা।
প্রখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সনজীদা খাতুন এবং তাঁর সহযোদ্ধাদের অবিস্মরণীয় কীর্তি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট। এই প্রতিষ্ঠান দুই বাংলার সঙ্গীতশিল্পীদের আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। মুহাম্মদ ইউনূসের বাংলাদেশে ভারত বিরোধী ওসমান হাদির মৃত্যুর প্রতিবাদের নামে বিক্ষোভকারীদের এই তাণ্ডবের সাক্ষী থাকল গোটা বিশ্ব। হিংসার আগুনে পুড়ে ছাই সে দেশের অন্যতম সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছায়ানট। ভারত-বিদ্বেষের পালে হাওয়া দিতে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছায়ানটে রাতভর চলল ধ্বংসযজ্ঞ। গোটা রাতজুড়ে ছায়ানট ভবনে লুটপাট চলেছে। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কট্টরপন্থী বিক্ষোভকারীরা এক -এক করে ভেঙে ফেলে সব বাদ্যযন্ত্র।ভাইরাল ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, এ দিক ও দিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছায়ানটের স্বরলিপি, গান লেখা কাগজপত্র।পুড়িয়ে দেওয়া হল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি-বই। মাটিতে আছড়ে ফেলা হয়েছে তবলা, হারমোনিয়াম। এই ঘটনায় অত্যন্ত মর্মাহত এ পার বাংলার রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী শ্রাবণী সেন, জয়তী চক্রবর্তী, সৌম্যজিৎ দাস।
আরও পড়ুন: জনরোষে জ্বলছে বাংলাদেশ! আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থ ইউনুস সরকার?
বাংলাদেশে সঙ্গীতের ক্ষেত্রে ছায়ানট ঐতিহ্য বহনকারী প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাতে ছায়ানটে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ করে দেওয়া ভবনে।ভেঙে ফেলা হয় হারমোনিয়াম-সহ বহু বাদ্যযন্ত্র। পাশাপাশি, পুড়িয়ে দেওয়া হয় রবি ঠাকুরের বই এবং ছবি। ছেঁড়া হয় লালন ফকিরের ছবিও। শুধু তাই নয়, বহু বাদ্যযন্ত্রও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। ছায়ানটের একাধিক ছবি এবং ভিডিও ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকী ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত সনজীদা খাতুনের ছবিও ছিঁড়ে ফেলেছে হামলাকারীরা।







