কলকাতা: মায়ানমারে (Mayanmar) যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে আরাকান আর্মি (Arakan Army)। ইতিমধ্যে দেশের মংডু শহর দখল করেছে এই বিদ্রোহী বাহিনী। সেই সঙ্গে রাখাইন প্রদেশের বেশিরভাগ অংশ এখন আরাকানদের দখলে এসে গিয়েছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের প্রায় পৌনে তিনশো কিলোমিটার এলাকা এখন আরাকান আর্মির দখলে, এমনটাই জানিয়েছে সেই দেশের সংবাদমাধ্যম। এরই মাঝে আরাকানদের মুখপাত্র জানিয়েছেন যে, তাঁদের বাহিনী ইতিমধ্যে জুন্টা বাহিনীর কমান্ড হেডকোয়ার্টার সহ রাখাইন প্রদেশের দখল নিতে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে আবার আরাকান আর্মি নাফ নদীতে নৌ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। সীমান্তের এই নদী দিয়েই বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রশাসনের লোকজন এবং সাধারণ নাগরিকেরা সেন্ট মার্টিন দ্বীপে যাতায়াত করে থাকে। গত তিনদিন ধরে এই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সেই কারণে এখন আরাকান আর্মির কারণে বিরাট চাপে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী মায়ানমার সীমান্তে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছে। বাড়ানো হয়েছে নজরদারি, দিনরাত চলছে টহল।
আরও পড়ুন: আরাকান আর্মির ভয়ে ২৭০ কিমি বর্ডার ‘সিল’ করল ইউনুস সরকার!
এককথায় রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরগরম পরিস্থিতি বাংলাদেশ ও ভারতের জন্য নতুন বিপদের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এখন ঢাকা ও নয়াদিল্লি উভয়েই আশঙ্কা করছে যে, যদি আরাকান আর্মি পুরো রাখাইন প্রদেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়, তবে সেখানকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে দেশছাড়া করার চেষ্টা হতে পারে। এর ফলে, প্রাণ বাঁচাতে রোহিঙ্গারা নতুন করে বাংলাদেশ ও ভারতে (India) ঢুকতে পারে। সেটাই এখন দিল্লি ও ঢাকার কাছে চিন্তার।
দেখুন আরও খবর: