কলকাতা: বড়দিনে (Christmas 2025) জেলায় জেলায় শুরু হয়ে গেল বিশেষ প্রার্থনা সভা। যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন উদ্যাপনে সকাল থেকেই চার্চে চার্চে ভিড় জমাচ্ছেন মানুষ। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বড়দিনের আনন্দে মেতে উঠেছেন সাধারণ মানুষ। উৎসবের আবহে সাজানো হয়েছে চার্চ চত্বর, কোথাও আলো, কোথাও বেলুনে মোড়া হয়েছে প্রার্থনাস্থল।
বড়দিনের সকালে বীরভূমের সিউড়ির ঐতিহাসিক লাল গির্জায় শুরু হয় বিশেষ প্রার্থনা। ১৪৯ বছরের পুরোনো এই গির্জাটি তৈরি হয়েছিল ১৮৭৬ সালে। জানা যায়, ১৮২৬ সালে শ্রীরামপুর মিশনের উইলিয়ামসন দম্পতি এই অঞ্চলে খ্রিস্টধর্মের প্রচারে আসেন। তাঁদের উদ্যোগেই পরবর্তীকালে তৈরি হয় নর্মান ইভানজেলিক্যাল লুথারের চার্চ, যা বর্তমানে লাল গির্জা নামেই পরিচিত। প্রতি বছর বড়দিনে এই গির্জায় জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে শহরবাসীর ঢল নামে। ভিড় সামলাতে এদিন সকাল থেকেই পুলিশ মোতায়েন করা হয়। প্রার্থনার পাশাপাশি শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা দেওয়া হয় চার্চের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন : ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিককে নিশানায় সুব্রত বক্সীর মন্তব্যে চাঞ্চল্য
অন্যদিকে বড়দিন উপলক্ষ্যে বাঁকুড়া জেলা জুড়েও উৎসবের মেজাজ চোখে পড়ছে। বাঁকুড়া শহরের সেন্ট্রাল চার্চটিকে রঙবেরঙের বেলুন, আলোর সাজ ও ক্রিসমাস ট্রি দিয়ে সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এখানে শুরু হয়েছে বিশেষ প্রার্থনা সভা। পরিবার-পরিজন নিয়ে অসংখ্য মানুষ অংশ নেন এই প্রার্থনায়। শিশুদের মধ্যে বড়দিন ঘিরে আলাদা উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যায়।
চার্চ কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়দিন উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। প্রার্থনার পাশাপাশি দুঃস্থদের জন্য খাবার ও উপহার বিতরণের ব্যবস্থাও রয়েছে। বড়দিনের এই পবিত্র দিনে শান্তি, ভ্রাতৃত্ব ও মানবতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে একসঙ্গে প্রার্থনায় শামিল হলেন বিভিন্ন জেলার মানুষ।







