কলকাতা: চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের তদন্তে সিবিআই (CBI Investigation RG Kar Case ) করলটা কী, উঠছে প্রশ্ন। আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক খুনের ঘটনায় সিবিআই প্রভাবশালী এবং বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব খাঁড়া করেছিল তদন্তের শুরুতে। কিন্তু তারা যে প্রাথমিক চার্জশিট দাখিল করেছে, তাতে না আছে কোনও প্রভাবশালীর ছোঁয়া, না আছে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের বিন্দুমাত্র আভাস।
চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের পিছনে যার হাত রয়েছে বলে সিবিআই চার্জশিটে উল্লেখ করেছে। চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের দোষী যে ধৃত সঞ্জয় রায় তা আগেই বলে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। বস্তুত, কলকাতা পুলিশ চারদিনে যা তদন্ত করেছে, সিবিআই প্রায় ৫০ দিনে সেই একই তদন্ত করেছে। উল্টে মৃতদেহের ময়না তদন্তে কারচুপির যে অভিযোগ করা হয়েছিল, বিশেষজ্ঞরা সেই অভিযোগও প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে কার্যত নাকচ করে দিয়েছেন। কীভাবে সঞ্জ রাই তিলোত্তমাকে খুন করল, কী পরিকল্পনায় সে অপারেশন করেছিল, তাও সিবিআই ঠিকমতো চার্জশিটে উল্লেখ করতে পারেনি। আইনজীবীদের একাংশের মতে, অত্যন্ত দুর্বল এই চার্জশিট। এর জন্য দিল্লি থেকে বাঘা সিবিআই অফিসারদের আনা কী দরকার ছিল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। প্রাথমিক চার্জশিটে প্রভাবশালী যোগ কিংবা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র নিয়ে একটি কথাও বলা হয়নি।
আরও পড়ুন: উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান পুজো মণ্ডপে, বিশৃঙ্খলায় গ্রেফতার নয়
সিবিআইয়ের প্রাথমিক চার্জশিট দেখে চূড়ান্ত হতাশ নিহত চিকিৎসকের পরিবার, হতাশ বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। চার্জশিটে কেন কেবল খুন এবং ধর্ষণের ঘটনায় একজনেরই নাম, তা নিয়ে বুধবারই বিধাননগরের করুণাময়ী থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত মিছিল করেছে চিকিৎসক ও নাগরিক সমাজ। রাজ্যের শাসকদল দাবি করছে, এটাই তো হওয়ার ছিল। সিবিআইয়ের প্রাথমিক চার্জশিট প্রমাণ করছে, কলকাতা পুলিশের তদন্ত সঠিক পথেই চলছিল। সিবিআই তদন্তে নেমে নতুন কিছু বার করতে পারেনি। বরং তারা কানাগলিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। শাসকদলের এক নেতা বলেন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী একেবারে শুরুতেই ঘটনার তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার কথা বলেছিলেন সাতদিনের মধ্যে কলকাতা পুলিশ কিছু করতে না পারলে। পাশাপাশি তিনি সিবিআইয়ের সাফল্যের হার নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। আইনি এবং বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, সিবিআই আসলে এখন পর্যন্ত অশ্বডিম্ব প্রসব করেছে।
অন্য খবর দেখুন