ঘূর্ণিঝড় দানার তাণ্ডবে ভোগান্তিতে পড়েছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা। গত বুধবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে এই দুর্যোগ, যা জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেল চারটের পর থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হতে শুরু করবে। সোমনাথ দত্ত, আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা, জানিয়েছেন, “শুক্রবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে, তবে কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।”
বৃহস্পতিবার রাতে ঘূর্ণিঝড় দানা ওড়িশা উপকূলের ভিতরকণিকা ও ধামারার মধ্যবর্তী অঞ্চলে প্রবল শক্তি নিয়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়ে। এ ঘটনায় দক্ষিণবঙ্গের দুই চব্বিশ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, বাঁকুড়া, এবং ঝাড়গ্রামে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, শুক্রবার দুপুরের পর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি ঘটবে।
দক্ষিণবঙ্গে কবে অবধি বৃষ্টি চলবে?
হাওয়া অফিসের রিপোর্ট অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্র হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কিছু এলাকায় অত্যন্ত ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিশেষ করে পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ 24 পরগনায় জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় আজ বিকেল চারটা পর্যন্ত সমুদ্র উত্তাল থাকবে। মৎস্যজীবীদের জন্য সমুদ্রে যাওয়া নিষেধ করা হয়েছে।
সোমনাথ দত্ত আরও জানান, “দানার গতকাল রাত 11:30 টা নাগাদ ল্যান্ডফল শুরু হয়েছিল। হাভালিখাটি নেচার ক্যাম্পের কাছে এটি স্থলভাগে আছড়ে পড়ে। এখন এটি অন্ধ্রপ্রদেশের দিকে এগোচ্ছে।” দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির কারণে বিপর্যস্ত জনজীবন। স্কুল, কলেজ, এবং অফিসের কার্যক্রম প্রভাবিত হয়েছে। জনগণকে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে এবং সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
শুক্রবার বিকেল চারটার পর থেকে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে। তবে পরিস্থিতির ভয়াবহতা এখনও কাটেনি। দক্ষিণবঙ্গের এই দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রশাসন ও স্থানীয় সংস্থাগুলোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। জনগণকে নিরাপদ স্থানে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।