কলকাতা: রাজ্যে ভয়ঙ্কর ডেঙ্গি ( Dengue)পরিস্থিতি। স্বাস্থ্য দফতরের ( Health Department) তরফে যে রিপোর্ট তুলে ধরা হচ্ছে, তাও যথেষ্ট উদ্বেগের! ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্য়ে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ১৮১। দক্ষিণবঙ্গের ২০টি জেলায় আক্রান্ত প্রায় ৩৫ হাজার। উত্তরবঙ্গের ৮ জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ২৭৬ জন। ! পুজোর সময় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, এমন আশঙ্কাও করেছে নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রী গোটা পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ এবং উদ্বিগ্ন। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ডেঙ্গি মোকাবিলায় যুক্ত আধিকারিক ও কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে নবান্ন (Nabanna)।
শহরের পাশাপাশি গ্রামঞ্চলেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই মুহূর্তে হাওড়াতেও চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি। ঘরে ঘরে ছড়াচ্ছে মশাবাহিত রোগ। সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত হাওড়া জেলায় মোট ১ হাজার ৭৮৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। হাওড়া পুর-এলাকা, বালি পুর-এলাকা, বালি-জগাছা ব্লক এবং সাঁকরাইলে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার হাওড়া পুরসভায় ডেঙ্গি নিয়ে বিশেষ বৈঠক রয়েছে। মন্ত্রী অরূপ রায় ও মনোজ তিওয়ারি ছাড়াও বৈঠকে থাকবেন জেলার অন্য বিধায়ক, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও হাওড়া পুরসভার আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য ভবনে ঢুকতে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে শুভেন্দু
জেঙ্গি রুখতে সতর্ক লালবাজার। আলিপুর বডিগার্ড লাইনে মশা নিধনে কেনা হচ্ছে স্মোক ফগার যন্ত্র। পুলিশ সূত্রের খবর, পুলিশকর্মী ও আধিকারিক এবং তাঁদের পরিবারের লোকেরা যাতে ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে না পড়েন, তার জন্য সতর্ক করা হয়েছে। পুলিশকর্মী ও তাঁদের পরিবারের লোকেরা ডেঙ্গু এবং ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, সেই জায়গাগুলি পুলিশ শনাক্ত করা হচ্ছে। আলিপুর বডিগার্ড লাইনে যাতে মশার কামড়ে রোগ না ছাড়ায়, তার জন্য এখন থেকেই লালবাজার সতর্ক হয়েছে। মশাবাহিত রোগ যাতে না ছড়ায় তার জন্য ধোঁয়া ছড়িয়ে মশা নিধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে লালবাজার। ফলে ৭০ হাজার টাকা খরচ করে এই জায়গাটির জন্য পুলিশ কিনছে ‘স্মোক ফগার’যন্ত্র। এক ঘণ্টায় ২৫ লিটার রাসায়নিক মিশ্রিত তেল ধোঁয়ার আকারে পুরো বডিগার্ড লাইনে ছড়ানো হবে।
চিকিৎসকরা বলছেন, ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যে যে জ্বর নিয়ন্ত্রণে আসছে না। এখন তার থেকেও বেশি সময় ধরে জ্বর থাকছে। ডেঙ্গি এক্সপ্যান্ডেড সিনড্রমে একাধিক অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটছে। লিভার, ব্রেন, কিডনি, প্যানক্রিয়াসের পাশাপাশি কার্ডিয়াকের সমস্যাও হচ্ছে।
আরও অন্য খবর দেখুন