কেরল: বাবা-মায়ের দেখভাল (Parents Care) করা শুধুমাত্র আইনি বাধ্যবাধকতা (legal obligation) নয়, এটি নৈতিক এবং সামাজিক দায়িত্ব (moral and social responsibility)। মনু স্মৃতি, বাইবেল, কোরান উল্লেখ করে অভিমত কেরালা হাইকোর্টের (kerala High Court)।
আত্মীয় বন্ধুদের সহযোগিতায় বাবা-মা দিন গুজরান করে নিলেও বয়স্ক বাবা-মার দেখভাল করার ছেলেমেয়েদের দায়িত্ব। অভিমত সহ মেনটেনেন্স অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার অফ প্যারেন্টস অ্যান্ড সিনিয়র সিটিজেন্স অ্যাক্ট ২০০৭, হিন্দু এডাপসন্স এন্ড মেনটেন্যানস অ্যাক্ট ১৯৫৬, কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিওর আইনের উল্লেখ আদালতের।
এমনকি ভারতীয় সংবিধানের ৫১-ক আর্টিকেল বলছে, বাবা-মায়ের দেখভাল ও সম্মান করা প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক দায়িত্ব।
আরও পড়ুন: কেজরির আজকের পরিণতিতে ক্ষোভ উগরে দিলেন আন্না হাজারে
বয়স্করা যখন সম্মান এবং যত্ন পান, একমাত্র তখনই সমাজের উন্নতিলাভ সম্ভব। বয়স্ক বাবা-মার অবহেলা শুধুমাত্র তাঁদের মানসিকভাবে বিধ্বস্ত করে না, এর ফলে সমাজের সার্বিক কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়ে। মন্তব্য বিচারপতি কাওসার ইডাপ্পাগাথের।
তিন প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের থেকে কোনও সাহায্য না পেয়ে ৭৪ বছরের বৃদ্ধের সাহায্যের দাবি খারিজ পারিবারিক আদালতে। ২০১৩ সালে যে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে তিনি বিবাহ বিচ্ছেদ করেছিলেন, সেই মহিলার সন্তান এরা। সেই তিনজনেই বর্তমানে কুয়েতে প্রতিষ্ঠিত।
আবেদনকারী বৃদ্ধ ব্যবসা থেকে বর্তমান স্ত্রীকে নিয়ে স্বচ্ছন্দেই থাকতে পারেন বলে দাবি ওই সন্তানদের। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট অনুযায়ী তাঁর ভাই ও অন্যান্যদের আর্থিক সাহায্যে আবেদনকারীকে দিনযাপন করতে হচ্ছে। সেই সূত্রে পারিবারিক আদালতের রায় খারিজ করে প্রতি মাসে কুড়ি হাজার টাকা ছেলেদের দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের।
দেখুন অন্য খবর: