নয়াদিল্লি: চোখে সমস্যা হচ্ছিল। তাই ছানি অস্ত্রোপচার করতে হয়। কিন্তু তা করার পর সংক্রমণ (Infection) ছড়ায়। অপারেশনের (Operation) পর রোগীর প্রয়োজনীয় শুশ্রুষা (Treatment) করা হয়নি। যে ঘটনায় চিকিৎসায় চূড়ান্ত গাফিলতি হয়েছে বলে জানাল শীর্ষ আদালত। সার্জেনকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা জরিমানা করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ওই টাকা পাবেন ক্ষতিগ্রস্ত রোগী। সংক্রমণ চিহ্নিত করতে এবং প্রয়োজনীয় শুশ্রুষা দিতে ব্যর্থতা। সেই কারণে মহারাষ্ট্রের রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের রায় বহাল রাখল বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি পি বি ভারালের ডিভিশন বেঞ্চ। চিকিৎসকের কোনও ভুল ছিল না বলে জাতীয় ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের রায় খারিজ করে সুপ্রিম নির্দেশ।
শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, অস্ত্রোপচারের পর অভিযুক্ত চিকিৎসকের পরিষেবা দানে অবহেলা স্পষ্ট। এমন কি প্রয়োজনীয় চিকিৎসা যেখানে দেওয়া সম্ভব ছিল, তা দেওয়া হয়নি। দক্ষ একজন চিকিৎসকের কাছে যা আশা করা যায় তা এক্ষেত্রে হয়নি। তাই আগামী দুই মাসের মধ্যে ওই চিকিৎসক ক্ষতিগ্রস্ত রোগীকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা দেবেন। এর অন্যথা হলে যেদিন থেকে জরিমানা নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সেদিন থেকে ওই অর্থের উপর ১২% বার্ষিক হারে সুদ দিতে হবে ওই চিকিৎসককে।
আরও পড়ুন: এবার কেন্দ্রীয় বাজেটে কী পরিবর্তন হতে পারে? পড়ুন রিপোর্ট
ডান চোখের সমস্যা নিয়ে পুনে শহরে চিকিৎসকের চেম্বারে ১৯৯৯ সালের ১১ জানুয়ারি যান ওই রোগী। চোখের ছানি চিহ্নিত করে অস্ত্রোপচার করার পর রোগীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু চোখ ও মাথার যন্ত্রণা ক্রমাগত বাড়তে থাকায় ওই চিকিৎসক অন্তত তিনবার ব্যান্ডেজ পরিবর্তন করে আই ড্রপ এবং খাওয়ার ওষুধ দেন। অন্তত চারবার ওই চিকিৎসক চোখ পরীক্ষা করে সব ঠিক আছে জানানোর পরেও পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় রোগী যান অন্য চিকিৎসকের কাছে। সেই সূত্রে তাঁর ডান চোখ অস্ত্রোপচার করে বাদ দিতে হয়। এরপর জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালত তাঁর ক্ষতিপূরণের আবেদন খারিজ করলেও রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা আদালত সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ চিকিৎসক চ্যালেঞ্জ করেন জাতীয় ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে। সেখানে রায় ডাক্তারের পক্ষে যায়। এরপর মামলকারী যান সুপ্রিম কোর্টে।
দেখুন অন্য খবর: