বাঁকুড়া: মাছ ধরার জন্য শিলাবতী নদীতে (Shilabati River) জাল ফেলেছিলেন মৎস্যজীবীরা। তবে জালে মাছ নয়, উঠে এল এক প্রাচীন মূর্তি (Ancient Statue)। জাল থেকে ছাড়িয়ে মূর্তিটিকে নদীর পাড়ে এনে রাখেন জেলেরা। উদ্ধারকৃত মূর্তি দেখে হইচই পড়ে যায় এলাকায়। স্থানীয় মানুষজন ভিড় জমায় নদীর ধারে। কিন্তু এই প্রাচীন মূর্তি (Jain Statue) কোথা থেকে এল নদীতে? এই মূর্তি আদতে কার? চলুন সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক।
বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া (Bankura) জেলার খাতড়া ব্লকের বৈদ্যনাথপুর অঞ্চলের জগন্নাথপুর গ্রামের পার্শ্ববর্তী এলাকায়। জানা গিয়েছে, এই গ্রামের ধীবর পাড়ার মৎস্যজীবীরা ওইদিন মাছ ধরতে যান। কিন্তু নদীর জলে জাল ফেলতেই উঠে আসে এই প্রাচীন মূর্তি। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার বরোদা সার্কেলের সুপারিনটেন্ডিং আর্কিয়োলজিস্ট শুভ মজুমদার জানান, এই মূর্তিটি সম্ভবত ২৪তম জৈন তীর্থঙ্কর ঋষভনাথের। তবে জলে থাকার কারণে মূর্তিটি কিছুটা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তবে মূর্তির মাথায় জটা দেখে এটিকে জৈন তীর্থঙ্করের বলে অনুমান করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের নেপথ্যে জাল পাসপোর্ট চক্র?
সূত্রের খবর, নদীবক্ষ থেকে উদ্ধার হওয়া এই মূর্তির দু’পাশে চারটি করে মোট আটটি গ্রহ (সূর্য, সোম, মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র, শনি ও রাহু) রয়েছে। পাশাপাশি, এই মূর্তির পাশে দু’জনের অবয়ব রয়েছে, যাঁরা চামর হাতে রয়েছেন। নৃতত্ববিদদের অনুমান, এই মূর্তিটি দশম থেকে দ্বাদশ শতকের মধ্যে নির্মিত হয়েছিল। কিন্তু এই মূর্তি এই আলাকায় কীভাবে এল? এই বিষয়ে শুভ মজুমদার জানান, “খাতড়া অঞ্চলে এই ধরনের জৈন তীর্থঙ্করের মূর্তি আগেও পাওয়া গিয়েছে। তাই অনুমান করা যায় যে, বাঁকুড়ার অন্যান্য অঞ্চলের মতো খাতড়া এলাকাতেও আদি মধ্যযুগীয় সময়ে জৈন ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ পীঠস্থান ছিল।”
দেখুন আরও খবর: