ওয়েবডেস্ক- রাশিয়া-ইউক্রেন (Russia-Ukraine) যুদ্ধের আবহে এক ভারতের সাধারণ ঘরের যুবক সেখানে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন। মোদি সরকারের (Modi Government) কাছে তার আর্জি তাঁকে দেশে ফেরানো হোক। এই কাহিনি গুজরাটের বাসিন্দা মাজোতি সাহিল মহম্মদ হুসেনের (Majoti Sahil Mohammad Hussain) ।
ভারতীয়দের উদ্দেশে মাজোতির বক্তব্য, একজন যুদ্ধপরাধী হিসেবে আমি ইউক্রেনে বন্দী। ভবিষ্যতে কী হবে আমার জানা নেই। তবে ভারতীয় নাগরিকদের আমি কিছু বলতে চাই। এখানে যে সব ভারতীয়রা উচ্চশিক্ষা বা কাজের জন্য রাশিয়ায় আসছেন, তারা সাবধানে থাকবেন। এখানে অনেক প্রতারক রয়েছে’। রবিবার রাতে এই ভিডিও বার্তা দেন তিনি। মাজোতির বক্তব্য, শিক্ষার্থীদের এখানে ইচ্ছাকৃতভাবে বিভিন্ন ফৌজদারি মামলা এবং মাদক মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। ভারত সরকারের কাছে তাঁকে এখান থেকে উদ্ধারের জন্য আর্জি জানান তিনি।
আরও পড়ুন- এপস্টেইন কাণ্ডে ট্রাম্পের ছবি অন্তর্ভুক্ত করল মার্কিন বিচার বিভাগ!
সম্প্রতি বিদেশ মন্ত্রকের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে রুশ সেনায় কর্মরত ২৭ জন ভারতীয়ের মুক্তি ও প্রত্যার্পণের জন্য মস্কোকে জানানো হয়েছে। এছাড়া মস্কোকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, ভারতীয়দের যুদ্ধে না পাঠানোর জন্য। সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালে ইউক্রেন আর রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হয়। এর পর থেকে ১৫০ জনেরও বেশি ভারতীয়কে নিয়োগ করা হয়েছে রুশ সেনাবাহিনীতে। যার মধ্যে ১২ জন নিহত ও ১৬ জন নিখোঁজ। ৯৬ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
জেলযাত্রা এড়াতে রাশিয়ায় হয়ে যুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন ভারতীয় যুবক মাজোতি সাহিল মহম্মদ হুসেন। বর্তমানে তিনি ইউক্রেন সেনার হাতে বন্দি। কয়েকমাস আগে মাজোতির এই ঘটনা সামনে আসে। ইউক্রেন সেনার তরফে টেলিগ্রামে তাঁর একটি এক ভিডিও পোস্ট করা হয়েছিল। এবার তাঁর আগে মাজোতির আরও একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। ভিডিওতে মাজোতি সরাসরি কেন্দ্র এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, সাহিল ইউক্রেনীয় সেনাদের বলেছিলেন যে মাদক মামলায় তিনি রাশিয়ায় সাত বছরের কারাদণ্ডের হতে পারে, তাই জেল এড়াতে তিনি রাশিয়ান সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। গুজরাটের মোরবির বাসিন্দা ২২ বছর বয়সী ভারতীয় ছাত্র মাজোতি সাহিল মোহাম্মদ হুসেন, যিনি রাশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে গিয়েছিলেন। ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধে তিনি জড়িয়ে পড়েছেন। রাশিয়ায় সেনাতে যোগ দিতে হয়, পরে ইউক্রেন বাহিনীর হাতে তিনি বর্তমানে বন্দি।
দেখুন আরও খবর-







