নয়াদিল্লি: ইজরায়েল (Israel) ও প্যালেস্তিনীয় (Palestine) জঙ্গি প্রশাসন হামাসের (Hamas) যুদ্ধ পঞ্চম দিনে গড়াল। মৃতের সংখ্যা প্রায় ১২০০। ইজরায়েলের দাবি, তারা অধিকৃত গাজার সীমান্ত এলাকা পুনরুদ্ধার করতে পেরেছে। লেবানন ও সিরিয়া হামাসের পক্ষ নেওয়ায় বহুমুখী আক্রমণের মুখে বেঞ্জামিন নেতানইয়াহু (PM Benjamin Netanyahu) সরকার। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (US), ইজরায়েল এবং মিশর (Egypt) গাজাবাসীকে থেকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আলোচনা করছে।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (US NSA) জ্যাক সুলিভান মঙ্গলবার জানান, আমরা ইজরায়েল এবং মিশরের সঙ্গে কথা বলছি। আমাদের মূল লক্ষ্যই নিরীহ গাজাবাসীকে পুনরুদ্ধার করা। এব্যাপারে কথা চলছে। তিনি আরও জানান, আমরা ইচ্ছাকৃতভাবে নাগরিকদের উপর আক্রমণ করছি না। আমাদের সেনা অভিযান আইন এবং যুদ্ধনীতি মেনেই চলছে।
আরও পড়ুন: পুজোর মুখে সুখবর আবহাওয়া অফিসের
মঙ্গলবার সারা রাত ধরে ইজরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী বেইট হ্যাননের কাছে অন্তত ৮০টি এলাকায় বোমা বর্ষণ করেছে। ইজরায়েল সেনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এবার স্থলপথে বাহিনী ঢুকবে প্যালেস্তাইনে। জঙ্গিদের খুঁজে বের করে মারা হবে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের একটি বিবৃতি অনুযায়ী, এই যুদ্ধে প্রায় ২ লক্ষ ৬০ হাজার মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। তা সত্ত্বেও এখনও প্যালেস্তাইন এবং ইজরায়েলে বহু দেশের কয়েক হাজার মানুষ আটকে পড়ে রয়েছেন।
ফিজির প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ফিজি এয়ারওয়েজের একটি বিমান তেল আভিভ থেকে ২০০ জন ফিজি তীর্থযাত্রী, অস্ট্রেলীয়, নিউজিল্যান্ড, কানাডা এবং মার্কিনকে নিয়ে রওয়া দিয়েছে। ডেনমার্কও তাদের নাগরিকদের তুলে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করছে।
ইজরায়েল সেনা মুখপাত্র বলেন, প্রায় ৩ লক্ষ জওয়ান গাজা সীমান্তে চলে গিয়েছে। তাদের দাবি, এই যুদ্ধের পর হামাসের আর কোমর সোজা করে দাঁড়ানোর অবস্থা থাকবে না। ইজরায়েলের পক্ষ নিয়ে আমেরিকা পূর্ব ভূমধ্যসাগর এলাকায় ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড বিমানবাহী জাহাজ পাঠিয়ে রেখেছে। সব মিলিয়ে হামাসের অতর্কিত হামলায় আরব দুনিয়ায় ব্যাপক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কারণ একদিকে ইসলামি দুনিয়া অন্যদিকে ইহুদি-খ্রিস্টান দুনিয়া আড়াআড়ি দুভাগ হয়ে গিয়েছে।
দেখুন অন্য খবর