মেদিনীপুর: বেআইনি স্যালাইন কাণ্ডে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায়, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। গতকাল অর্থাৎ শনিবার, আরও এক চিকিৎসককে করা হয়েছে সাসপেন্ড। অভিযোগ তোলা হয়, সিনিয়র চিকিৎসকদের নজরদারিতে হয়নি প্রসূতির অস্ত্রোপচার। আর এবার, এই অভিযোগের ভিত্তিতে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকেরা অধ্যক্ষকে দিলেন চিঠি। সেই চিঠিতে তাঁদের স্পষ্ট দাবি , ‘ সিনিয়র চিকিৎসকদের নজরদারিতেই হয়েছে প্রসূতির অস্ত্রোপচার ‘। শুধুমাত্র তাই নয়, চিঠিতে আরও বলা হয়েছে ‘ জাতীয় মেডিক্যাল কমিশনের গাইডলাইন মেনেই করা হয়েছে অপারেশন’। আর এই চিঠি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকেরা অধ্যক্ষকে দিয়ে অনুরোধ করেন, ১৩ জন চিকিৎসককে যে সাসপেন্ড করা হয়েছে সেই সিদ্ধান্ত যেন পুনর্বিবেচনা করা হয়। ইতিমধ্যেই, পিজিটির পক্ষ থেকে যেই চিঠি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে দেওয়া হয়েছে, সেই চিঠি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে পাঠানো হয়েছে হাসপাতালের অধ্যক্ষের তরফ থেকে।
আরও পড়ুন: রাজপথে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ ঢেউ, ডাক্তারদের সুরে ফের আন্দোলনের ইঙ্গিত!
উল্লেখ্য, বেআইনি স্যালাইন কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর মেদিনীপুরে মেডিক্যাল কলেজের ৭ জুনিয়র ডাক্তার সহ – ১৩ জনকে সাসপেন্ড করা হয়। আর সেই সাসপেনশন ঠিক নয়, এই দাবি তুলে সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবি করা হচ্ছে আই এম এ রাজ্য শাখা তরফ থেকে। যতক্ষণ না পর্যন্ত সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হবে , ততক্ষণ পর্যন্ত মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকেরা প্রতিবাদ অব্যাহত রাখবেন বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। ওই ১৩ জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শুধু সাসপেন্ডেই করা হয়নি, তাদের বিরুদ্ধে রুজু করা হয়েছে এফআইআরও। সেই এফআইআরও চিকিৎসকদের বিরুদ্ধ থেকে না তোলা হলে ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন জারি থাকবে বলে সাফ জানিয়ে দেন তারা। বিক্ষোভকারীদের অধিকাংশই স্ত্রীরোগ বিভাগের জুনিয়র চিকিৎসক।
দেখুন অন্য খবর