ইম্ফল: জাতি হিংসায় উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur )। অশান্তি অব্যাহত। ফের সোমবার থেকেই সিআরপিফের (CRPF) ওপর হামলার ঘটনা ঘিরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হল মণিপুরে। পালটা গুলিতে নিহত কমপক্ষে ১০ জঙ্গি। নিহতরা সকলেই কুকি (Kuki) সম্প্রদায়ের বলে জানা গেছে। জারি করা হয়েছে কারফিউ (Cerfew)।
জানা গিয়েছে, সোমবার মণিপুরের জিরিবাম সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের উপরে হামলা চালানো হয়। হামলার মূল লক্ষ্য ছিল একটি অস্থায়ী ত্রাণ শিবির। অসমের সীমান্ত লাগোয়া জিরিবামে একটি পুলিশ স্টেশনের দুইদিন থেকে হামলা চালানো শুরু করে জঙ্গিরা। ওই পুলিশ স্টেশনের পাশেই ছিল ওই অস্থায়ী ত্রাণ শিবির।
থানায় হামলার পর পরই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। স্থানীয় বাড়িগুলিতে পর পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সেই বাহিনীর আক্রমণ থামাতে গেলে তাদের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। সংঘর্ষে প্রথমে এক জওয়ান আহত হন। এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী এই হামলায় কমপক্ষে ১০ জঙ্গি নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিথ্যা বলার অভিযোগে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে কমিশনে বিজেপি
এর আগেও জিরিবাম স্টেশনে একাধিক বার হামলা চালানো হয়েছে। লুট হয়েছে অস্ত্রসামগ্রী। এই ঘটনায় ওই এলাকায় অতিরিক্ত বাহিনী পাঠিয়েছে সিআরপিএফ। এদিকে কুকিদের পক্ষ থেকেও শুরু হয়েছে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ। কুকি জনগোষ্ঠীর তরফে বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে তাঁদের ‘ভিলেজ ভলান্টিয়ার’দের মৃত্যুর প্রতিবাদে।
জঙ্গিদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে রকেট প্রপেলড গ্রেনেড, একে সিরিজের অ্যাসল্ট রাইফেল। জানা গেছে, ভিলেজ ভলান্টিয়ারদের কেবল সিঙ্গল ব্যারেল বন্দুক ব্যবহার করারই অনুমতি রয়েছে, তাও লাইসেন্সপ্রাপ্ত। কিন্তু তাদের কাছ থেকে প্রায়শই অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করছে পুলিশ। কিভাবে, কোথা থেকে তারা এত অস্ত্রশস্ত্র পাচ্ছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দেখুন অন্য খবর: