তেহরান: বহুদিন ধরে যুদ্ধের আগুনে জ্বলছে মধ্যপ্রাচ্য। এই অশান্ত পরিস্থিতির মাঝে অনেকেই আবার তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা করছেন। এদিকে ইরান আবার নিজদের পারমাণবিক শক্তি বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শীঘ্রই ইরানের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ফ্রান্স, জার্মানি এবং ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন। সম্প্রতি এই কথা জানিয়েছেন ইরানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই। তিনি জানান, আসন্ন এই বৈঠকে ফিলিস্তিন ও লেবাননের পরিস্থিতি, পারমাণবিক ইস্যু এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। কিন্তু আচমকা পারমাণবিক ইস্যুতে আলোচনা কেন? এর উত্তরে ভইরানের পারমাণবিক সংস্থার মুখপাত্র বেহরুজ কামালভান্দি জানিয়েছেন, দেশটি ইউরেনিয়ামের সমৃদ্ধিকরণের ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে। তিনি বলেন, “বিভিন্ন ধরণের উন্নত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে আমরা সমৃদ্ধকরণের ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করব।” তবে, ইরান জানিয়েছে তারা IAEA-র সাথে কারিগরি ও সুরক্ষার বিষয়ে সহযোগিতা চালিয়ে যাবে। সম্প্রতি IAEA প্রধান রাফায়েল গ্রসির তেহরান সফরের সময় ইরান ৬০ শতাংশ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুত সীমিত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন: ইউরোপে দক্ষিণপন্থীদের প্রভাব বাড়ছে?
২০১৫ সালে ইরান এবং বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলইর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই চুক্তির মাধ্যমে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ কররা হ্য। তবে এর বিনিময়ে ইরানের উপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়। তবে, ২০১৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একতরফাভাবে এই চুক্তি থেকে সরে গিয়ে ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এর জবাবে, ইরান ধীরে ধীরে তাদের প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসে এবং পারমাণবিক শক্তির উৎপাদন বৃদ্ধি করে। তাহলে কি এবার ইরান অন্যান্য দেশের জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াবে? হয়তো না। কারণ ইউরোপ নিশ্চিত করেছে যে, আসন্ন বৈঠকে কূটনৈতিক পদক্ষেপের মাধ্যমে ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি রোধ করার চেষ্টা চালানো হবে।
দেখুন আরও খবর: