সিউড়ি: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বীরভূম বন বিভাগের বনমহোৎসব অনুষ্ঠানে গরহাজির উদ্বোধক মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা (Chandranath Sinha)। একে শাসকের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, কাজলকে এড়িয়ে চলার কৌশল দাবি করল বিজেপি। এটা মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান আসা উচিত ছিল জানান কাজল।
জেলা বন বিভাগের পক্ষ থেকে বীরভূমে কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মন্দির সংলগ্ন মাঠে বনমহোৎসব অনুষ্ঠান পালন করা হল। এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি ফাইজুল হক (কাজল শেখ), বোলপুরে সাংসদ অসিত মাল, এছাড়াও বোলপুর মহকুমা শাসক অয়ন নাথ। মূলত গাছ লাগানো কতটা উপকারী এবং কেন গাছ লাগাতে হবে? কেনই বা গাছ কাটা যাবে না এই সমস্ত বিষয়ের উপর কথা বলেন সবাই।
আরও পড়ুন: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জট কাটল মাওবাদী নেতা অর্ণব দামের
সরকারি এই বন উৎসবে উদ্বোধক হিসেবে নাম ছিল মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের ছাপানো কার্ডে উদ্বোধক হিসেবে নাম থাকা সত্ত্বেও এলেন না মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, প্রধান অতিথি ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ ও বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় ।
জেলায় থাকা সত্বেও গরহাজির মন্ত্রী। বিরোধীরা বলছেন গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্যই আসেননি। বিশেষ করে কাজল শেখ ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন। এবং তাঁর দায়িত্বে থাকা নানুর বিধানসভা এলাকায় উৎসবটি পালন হয়েছে তার জন্য। যদিও এ বিষয়ে বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ জানান, বীরভূম বন বিভাগের উৎসব বনমহোৎসব। এটা আমাদের সরকারি প্রোগ্রাম। সরকারিভাবে কার্ড ছাপানো হয়েছে। উদ্বোধক, প্রধান অতিথি হিসেবে তাঁদের নাম রয়েছে। অথচ তাঁরা এলেন না! তাদের আশা উচিত ছিল। এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে বোলপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আরও খবর দেখুন