ওয়েব ডেস্ক : রাম মন্দিরে (Ram Temple) ধ্বজা উত্তোলন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। মূলত, শেষ হয়েছে রাম মন্দির নির্মাণের কাজ। সেই কারণে বিবাহ পঞ্চমীর পুণ্য তিথিতে ধ্বজা উত্তোলনের মাধ্যমে রামলালাল ধর্মীব আবাস উদ্বোধন করলেন তিনি। এই বিশেষ অনুষ্ঠানকে ঘিরে অয়োধ্যায় (Ayodhya) কড়া নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে। হাই অ্যালার্ট জারি রয়েছে এটিএস, এনএসজি ও সাইবার বিভাগের জন্য।
মন্দির নির্মাণ সম্পূর্ণ হওয়ার পরই প্রথমবারের মতো প্রধান শিখরে ধ্বজা উত্তোলন করলেন প্রধানমন্ত্রী। এই বিশেষ মুহূর্তেকে ‘পূর্ণতার প্রতীক দেখছে’ শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। আজ সকাল থেকেই অন্য রূপে অযোধ্যা। চারদিকেই উৎসবের আমেজ। চারদিকে সাধু সন্ত থেকে ভক্তদের ভিড়। এদিন গেরুয়া পতাকা উত্তোলনের পরে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠান শেষে সাধারণ ভক্ত, অতিথি ও সাধুদের উদ্দেশে ভাষণ দোওয়ার কথা মোদির (Modi)।
আরও খবর : ধেয়ে আসছে সাইক্লোন, উথাল-পাথাল হবে বাংলা? কী জানাল মৌসম ভবন
মন্দির কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, ধর্মধ্বজার উচ্চতা ১০ ফুট এবং দৈর্ঘ্য ২০ ফুট। পতাকায় রয়েছে স্বর্ণাভ সূর্যমুখী প্রতীক, ‘ওঁ’ অক্ষর এবং পবিত্র কোবিদার বৃক্ষের ছবি। এই ঐতিহ্যবাহী প্রতীকগুলো ভারতীয় সংস্কৃতির সাহস, সম্মান, ঐক্য এবং ধারাবাহিকতার বার্তাকে বহন করে। এই বিশেষ অনুষ্ঠান দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে অসংখ্য ভক্তের আগমন হয়েছে। মন্দির প্রাঙ্গণ জুড়ে কড়া নিরাপত্তা। মন্দির চত্বর প্রায় হাজার টন ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে।
এদিকে ধ্বজা উত্তোলনকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তা রয়েছে অযোধ্যায় (Ayodhya)। মোতায়েন করা হয়েছে ৬ হাজার ৯৭০ জন নিরাপত্তারক্ষীর। রয়েছে এটিএস কমান্ডো, এনএসজি স্নাইপার টিম, বিশেষ সাইবার ইউনিট এবং প্রযুক্তিগত বাহিনী। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়েছিল রামলালার। কিন্তু সেই সময় রাম মন্দির নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। ধ্বজা উত্তোলনের ফলে এবার পুরোপুরিভাবে মন্দির এবার ধর্মীয় আবাসে রুপান্তরিত হবে। ধ্বজারোহণের পর এবার ৪৪টি দরজাই খুলে দেওয়া হবে ধর্মীয় আচার আচরণের জন্য।
দেখুন অন্য খবর :







