গ্যাংটক: সিকিমের হড়পা বানে (Sikkim Flash Flood) মৃতের সংখ্যা ৫৬ ছাড়াল। একের পর এক দেহ উদ্ধার হচ্ছে। সিকিম ও কালিম্পঙের বিস্তীর্ণ এলাকায় বিপর্যস্ত। সেতু থেকে রাস্তা, তিস্তার রোষে অস্তিত্ব নেই কোনও কিছুর। সব ঢাকা পড়েছে কাদার তলায়। উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরবঙ্গের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে খতিয়ে দেখতে ও সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে অরূপ বিশ্বাসকে পাড়াহে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার দুপুরে বাগডোগরা বিমানবন্দর হয়ে কালিম্পঙের উদ্দেশে রওনা দেবেন মন্ত্রী অরূপ। ইতিমধ্যে বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor CV Anand Bose) ইতিমধ্যেই পাহাড়ের দুর্যোগ কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে এসেছেন।
ইতিমধ্যেই সিকিম থেকে ২৬ টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে এনডিআরএফের টিম। রাজ্য সরকার তিস্তা নদীর অববাহিকা থেকে প্রায় ৩০টিরও মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, তারা তিস্তা নদীর অববাহিকা শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার জেলা থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। সব মিলিয়ে বন্যায় এখন মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৬। হড়পা বানের জেরে ভেসে গিয়েছে অন্তত ১৪টি সেতু। ভেঙে গিয়েছে শিলিগুড়ি এবং গ্যাংটকের মধ্যে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। সেখানের বিভিন্ন এলাকায় অনেকরগুলি রাস্তাও ধসে গিয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক পর্যন্ত চালু করা হল বিকল্প রাস্তা।
আরও পড়ুন: ভেস্তে গেল চতুর্থ বোনাস বৈঠক, নিরাশ উত্তরের ৫ লক্ষ শ্রমিক
উত্তর সিকিমে (North Sikkim) আটকে ২৮০০ পর্যটক। সিকিম ট্যুরিজম ডিপার্টমেন্টের তরফ থেকে তাদেরকে হেলিকপ্টারে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে। যেহেতু আবহাওয়া খারাপ এই কারণে হেলিকপ্টার পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। এই মুহূর্তে গ্যাংটক এমজি মার্কেটে (M. G. Market Gangtok) বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফ থেকে ক্যাম্প করা হয়েছে। সেখান থেকেই উত্তর সিকিমে ত্রাণ পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পর্যটকদের উত্তর সিকিম থেকে মাঙ্গানে নিয়ে আসা হবে। এরপর সড়কপথে প্রত্যেককে শিলিগুড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। উত্তর সিকিমের চুংথাং থেকে বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ। পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দা ছাত্র-ছাত্রী ও আটকে রয়েছে। এই মুহূর্তে দিনরাত এক করে কাজ করে যাচ্ছে সিকিম প্রশাসন।
আরও অন্য খবর দেখুন