কলকাতা: বিশ্বের অর্থনীতিতে সোনার (Gold Reserve) গুরুত্ব চিরকালীন। যুগের পর যুগ ধরে সোনা কেবল অলঙ্কারের জন্য নয়, বরং নিরাপদ বিনিয়োগ (Investment) হিসেবেও পরিচিত। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের (World Gold Council) সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোনা মজুতের দিক থেকে শীর্ষস্থানে রয়েছে আমেরিকা (USA)। তালিকার বিভিন্ন দেশের মজুত পরিমাণ এবং তাদের সোনার প্রতি আস্থা অর্থনীতির দিক থেকেও বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। প্রথম স্থান দখল করে থাকা আমেরিকার কাছে মজুত রয়েছে ৮১৩৩.২৬ টন সোনা, যা তাদের বৈদেশিক মুদ্রা তহবিলের ৭৪ শতাংশ।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা জার্মানির (Germany) কাছে সঞ্চিত রয়েছে ৩৩৫৯.১ টন সোনা। ১৯২০ সালের মুদ্রাস্ফীতি থেকে শিক্ষা নিয়ে জার্মানি আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য সোনা জমানো শুরু করে। বর্তমানে তাদের সোনার বেশিরভাগ অংশ নিউ ইয়র্ক, লন্ডন এবং ফ্রাঙ্কফুর্টে মজুত আছে। ইতালি (Italy) তৃতীয় স্থানে রয়েছে ২৪৫১.৮ টন সোনা নিয়ে। এই সোনা পরিচালনা করে তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক, ‘ব্যাঙ্কা ডি’ইতালিয়া’। দক্ষিণ ইউরোপের এই দেশটির সোনা আন্তর্জাতিক ব্যাঙ্কে এবং রাজধানী রোমে সুরক্ষিত। ফ্রান্স ২৪৩৬ টন সোনা নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে তারা সোনার ভাণ্ডার শক্তিশালী করে তুলেছে।
আরও পড়ুন: হাসিনার দেশত্যাগ, ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন, যুদ্ধের ভয়াবহতা, কেমন কাটল এই বছর?
পঞ্চম স্থানে থাকা চিনের (China) গোল্ড রিজার্ভ ২২৬৪ টন। এশিয়ার মহাশক্তিধর এই দেশটি সোনা সঞ্চয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে। তালিকার সপ্তম স্থানে উঠে এসেছে ভারত (India), মজুত রয়েছে ৮৫৮.৩ টন সোনা। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর ভারত সোনা কেনার ক্ষেত্রে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের মতে, অক্টোবর মাসে বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি যে পরিমাণ সোনা কিনেছে তার ৪৮ শতাংশই ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের। জাপান (Japan) অষ্টম স্থানে রয়েছে ৮৪৫ টন সোনা নিয়ে। নেদারল্যান্ডসের (Netherlands) মজুত সোনা ৬১২ টন, এবং দশম স্থানে থাকা তুরস্কের (Turkey) কাছে রয়েছে ৫৯৫ টন।
দেখুন আরও খবর: