কলকাতা: অনশনের ১৪ দিন, কোন পথে কাটবে জট? আদৌ কী জুনিয়র ডাক্তাররা অনশন (Junior Doctors’ Hunger Strike) প্রত্যাহার করবেন? পরবর্তীতে আন্দোলন কোন দিকে যায় তা স্থির করতেই শুক্রবার সিনিয়রদের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তাররা বৈঠকে বসেছেন। অনশনরত অবস্থায় সম্প্রতি হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে একাধিক জুনিয়র ডাক্তার। আন্দোলনরত ডাক্তারদের (Junior Doctors Protest For RG Kar) স্বাস্থ্যের পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগের। আরজি কর কাণ্ডে বিচার, হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা-সহ ১০ দফা দাবিতে গত ৫ অক্টোবর রাত থেকে ধর্মতলায় আমরণ অনশনে বসেছেন বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ২ জুনিয়র চিকিৎসকও অনশন শুরু করেন। রাজ্যজুড়ে প্রতীকী অনশন করছেন বহু সিনিয়র চিকিৎসকও। শনিবার সোদপুর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত ‘ন্যায় বিচার যাত্রা’-র ডাক দিয়েছে জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট।
এবার ‘ন্যায়বিচার যাত্রার’ ডাক দিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। শনিবার দুপুর ২টোয় আরজি কর-কাণ্ডে নিহত নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাড়়ির এলাকা থেকে শুরু হবে ‘ন্যায়বিচার যাত্রা’। তার পর মিছিল যাবে ধর্মতলার অনশনমঞ্চ পর্যন্ত। জুনিয়র ডাক্তারদের সূত্রে খবর, দীর্ঘ এই পথ হেঁটে পার করা সম্ভব নয়। তাই ‘রিলে’ পদ্ধতিতে এগোবে ‘ন্যায়বিচার যাত্রা’। আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন ১৪ দিনে পড়েছে। শিলিগুড়ির অনশনমঞ্চের দ্বাদশতম দিন। অনশনে থাকতে থাকতে সকলেই কমবেশি দুর্বল হয়ে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: ইএসআইয়ে দমবন্ধ হয়ে রোগী মৃত্যু
‘আমরণ অনশনে’ প্রথম দিন থেকে আছেন সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা, সিগ্ধা হাজরা এবং অর্ণব বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার ধর্মতলা থেকে সাংবাদিক বৈঠক করলেন সায়ন্তনীরা। প্রশ্ন তুললেন, কেন এক বারও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনশনমঞ্চে তাঁদের কাছে আসেননি। কেন তাঁদের ১০ দফা দাবি মেনে নিচ্ছেন না তিনি। এত দিন না খেয়ে শুধুমাত্র জল খেয়ে থাকতে হচ্ছে। ওআরএস বা গ্লুকোজ়ও খাচ্ছি না। শুধু জল। কথা বলতেও আমাদের কষ্ট হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী কি একবারের জন্যেও আমাদের কথা ভাবছেন না? তিনি দুর্গাপুজোয় মেতে আছেন। কেন উনি এত নিষ্ঠুর?
অন্য খবর দেখুন