কলকাতা: ১৯৯৭-এর ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপ। ভারতীয় দল নির্বাচনী বৈঠকে ঝড় ওঠে মহম্মদ আজহারউদ্দিন-কে নিয়ে। আজহারকে কেন্দ্র করে কার্যত দু-ভাগ হয়ে যায় ভারতীয় নির্বাচক কমিটি। এক পক্ষের যুক্তি ১৯৯৭ -এর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে একেবারেই ফর্মে ছিলেন না তিনি। তাই ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপে তাঁর বাদ পড়া উচিৎ।
এমএল জয়সীমা এবং এরাপল্লী প্রসন্ন মনে করেন আজহারকে দল থেকে বাদ দেওয়া অবশ্যই ক্রিকেটীয় কারণে। কিন্তু চান্দু বোরদে, মনিন্দর সিং এবং ব্রিজেশ প্যাটেল আবার ভিন্ন মত পোষণ করেন এই বিষয়ে। মোহিন্দর অমরনাথ পরে বলেছিলেন, ‘ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপে আজহারকে না নেওয়া টা ভুল ছিল। উপমহাদেশীয় উইকেটে আজহারের ব্যাট জ্বলে উঠতেই পারতো।‘ সুনীল গাভাসকর তাঁর কলমে লিখেছিলেন যে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ককে ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপে সুযোগ দেওয়া যেতেই পারতো। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাছে আরও ভালো ব্যবহার প্রাপ্য মিঞার।
আরও পড়ুন: রুদ্ধশ্বাস জয়ে WTC ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা
সূত্রের খবর, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে আজহারের কাছ থেকে আরও দায়িত্বশীল ব্যাটিং প্রত্যাশা করেছিলেন সেইসময়ের ভারত অধিনায়ক শচীন তেন্ডুলকর। সব মিলিয়ে এই টুর্নামেন্টের জন্য ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়লেন আজহার, দলে ফিরলেন শচীনের বন্ধু বিনোদ কাম্বলি। যদিও সেই ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয় ছাড়া তেমন কিছু করতে পারেনি ভারত। টিম ইন্ডিয়ার পারফরম্যান্স খারাপ হওয়ায় এরপরের নির্বাচনী বৈঠকে নাটক আরও চরমে পৌঁছে যায়। এই বৈঠকে নেতৃত্ব দেন রমাকান্ত দেশাই। আজহারের নাম উঠতেই তর্কের তুফান শুরু হয়। পরবর্তী এশিয়া কাপ এবং শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য যে দল নির্বাচন করা হয়, তাতে একেবারেই সন্তুষ্ট ছিলেন না ভারত অধিনায়ক শচীন তেন্ডুলকর। সেই সময়ের কিছু মিডিয়া রিপোর্ট বলছে ভারত অধিনায়ক শচীন তেন্ডুলকর নাকি একেবারেই দলে চাননি আজহারকে। পরিবর্তে চেয়েছিলেন বিনোদ কাম্বলিকে। অন্য একটি মিডিয়া রিপোর্ট বলছে সিধুর পরিবর্তে কাম্বলিকে চেয়েছিলেন শচীন। যুক্তি হিসেবে দেখিয়েছিলেন ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপে কাম্বলির করা অনবদ্য ৬৫। কিন্তু মাস্টার-ব্লাস্টারের কোনও আবদারই রাখা হয়নি। অবস্থা এমন জায়গায় পৌঁছে যায় যে শচীন নির্বাচনী বৈঠক থেকে উঠে পড়েন। উল্লেখ্য, আজহার দলে ফিরে কিন্তু নিজের উপস্থিতির ছাপ রাখেন। ১৯৯৭ এশিয়া কাপে ভারতের হয়ে সবথেকে বেশি রান করেন আজ্জুই!
দেখুন অন্য খবর