কলকাতা: শিয়ালদহ আদালত (Sealdah Court) শুক্রবার ঐতিহাসিক এক রায় দিয়ে সঞ্জয় রায়কে আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar Incident) দোষী সাব্যস্ত করেছে, যা দেশের চিকিৎসা মহলে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় এই প্রথম কোনও ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করা হল। তবে, এই রায়ের পর হতাশা ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট’। সংগঠনটি এক লিফলেটের মাধ্যমে তাদের উদ্বেগ ও সংশয় প্রকাশ করেছে, যেখানে তারা দাবি করেছে যে, সঞ্জয় রায় দোষী হলেও পুরোপুরি বিচার হয়নি এবং কিছু গুরুতর প্রশ্ন অবিকল রয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: দোষী সঞ্জয়, আদালতের রায় নিয়ে কী বলছেন জুনিয়র ডাক্তাররা?
লিফলেটে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, “বিচার কাঁদে নিভৃতে”, এবং শেষ লাইনে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, “দেশের স্বাধীনতার ৭৭ বছর পরেও বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদবে কেন?” সংগঠনের পক্ষ থেকে ২০টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তোলা হয়েছে, যেখানে তদন্তের কিছু ফাঁকফোকর ও অজানা দিকের প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। বিশেষ করে, ময়নাতদন্ত রিপোর্টে নির্যাতিতার মাথায় রক্তক্ষরণের কথা বলা হলেও, ফরেন্সিক রিপোর্টে সেমিনার রুমে কোনও ধস্তাধস্তির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এই ধরনের অসংগতির পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠনটি তদন্তের আরও গভীরতা ও স্বচ্ছতার দাবি করছে।
এই রায়ের পর, জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন আরও কিছু গুরুতর প্রশ্ন তুলে জানিয়েছে, কীভাবে ঘটনাস্থলকে সেমিনার রুম বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল, এবং কেন তার সংলগ্ন ঘরটি দ্রুত ভেঙে ফেলা হয়েছিল? এসব প্রশ্নের উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত তারা পুরোপুরি সন্তুষ্ট নয়, এমনটাই তাদের বক্তব্য।
দেখুন আরও খবর: