লখনউ: হাড়হিম করা ঘটনার সাক্ষী থাকল বারাণসী(Varanasi)। স্ত্রী ও তিন সন্তানকে গুলি করে খুন। মৃত স্ত্রীর বয়স ৪৫ বছর, দুই নাবালক সন্তানের বয়স যথাক্রমে ১৭ ও ১৫। তিনজনের দেহ তাঁদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রায় পরে মৃতার স্বামীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান স্ত্রী ও সন্তানদের খুন করে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। তিনজনের দেহ উদ্ধারের একঘণ্টা পরে একটি নির্মাণ সাইট থেকে মৃতার স্বামীর দেহ উদ্ধার হয়। বারাণসীর((Varanasi) ভাদাইনি এলাকায় এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে মৃতার নাম নীতু(৪৫), তাঁর দুই সন্তানের নাম গৌরাঙ্গী (১৬) এবং শুভেন্দ্র গুপ্তা (১৫)। নীতুর স্বামী রাজেন্দ্রকে প্রথমে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তার দেহ উদ্ধার হয়।
আরও পড়ুন:মণিপুরে দুটি নিষিদ্ধ সংগঠনের ৭ সদস্য গ্রেফতার
রাজেন্দ্র উচ্চবিত্ত বলে এলাকায় পরিচিত। তার বাড়িতে ২০টি পরিবার ভাড়াটিয়া হিসাবে থাকে। আজ ভোরে প্রতিবেশীরা দেখতে পান দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। পরিচারিকা বাড়ির ভিতর ঢুকতেই দেহের সারি দেখে পুলিশে খবর দেন।
সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক গৌরব বনসাল জানিয়েছেন, আজ সকালে চার জনের দেহ উদ্ধার হয়। এখানকার একজন বয়স্ক মহিলা বলেছেন, পারিবারিক বিবাদের কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটল৷
সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক বনসাল বলেছেন রাজেন্দ্র গুপ্ত অতীতে একাধিক খুনের মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন, বর্তমানে জামিনে ছিলেন৷ ঘুমন্ত স্ত্রী ও সন্তানকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে একটি পিস্তল ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা বুলেটের খোলস খুঁজে পেয়েছি। সম্পত্তি বিবাদের জেরে এই খুন হতে পারে। পরিবারটি অনেক সম্পত্তির মালিক। রাজেন্দ্র গুপ্ত একটি দেশী মদের ব্যবসা চালাতেন, ৮-১০ টি বাড়ির মালিক, ভাড়া হিসাবে প্রতি মাসে লক্ষাধিক উপার্জন করতেন।
রাজেন্দ্র গুপ্ত আগেই একাধিক হত্যা মামলার মুখোমুখি হয়েছেন এবং জামিনে মুক্ত ছিল। তার বিরুদ্ধে তার বাবা, ভাই ও বোনকে হত্যার অভিযোগে একটি মামলা ছিল।নীতু তার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী।
স্বামী ও স্ত্রী দুজনের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকতো। গুপ্তা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে অন্যত্র ছিলেন, দীপাবলির জন্য বাড়িতে এসেছিলেন। তবে সূত্রের খবর একজন তান্ত্রিকের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল রাজেন্দ্রর। তার পরামর্শে চলতেন তিনি। এই খুনের পিছনে তান্ত্রিকের হাত থাকতে পারে। তবে।পুলিশ নিশ্চিত করে জানায়নি।
দেখুন অন্য খবর: