কলকাতা: চিকিৎসায় অবহেলার বিচারের ক্ষমতা নেই রাজ্যের কমিশনের। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) সিদ্ধান্তে গুরুতর প্রশ্ন বিচারপ্রার্থী মহলে। চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ বিচারে রাজ্য তৈরি করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট রেগুলেটারি কমিশন। এই কমিশন বা স্বাস্থ্য কমিশনের বিচার করার এক্তিয়ার নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলে দিয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
প্রখ্যাত এক বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানকে কুড়ি লক্ষ টাকা জরিমানা করে কমিশন। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করা হয় হাইকোর্টে। একক বেঞ্চ ওই হাসপাতালের আবেদন বিবেচনা করার আগে ১৫ লক্ষ টাকা জমা করতে বলে। সেই নির্দেশ প্রতিষ্ঠানটি ডিভিশন বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ করে।
আরও পড়ুন: কোনও ব্যক্তি বা পরিবারকে বয়কট করা সামাজিক রোগ, অভিমত কলকাতা হাইকোর্টের
রোগ নির্ণয়ে গাফিলতি, উপযুক্ত ওষুধ রোগীকে না দেওয়া, রোগ নির্ণয়ে ভুল ইত্যাদি বিষয় চিকিৎসায় অবহেলা হিসেবে গণ্য হয়। এই সব বিষয় কমিশন বিচার করতে পারে না। রোগীর চিকিৎসায় প্রতিষ্ঠানটির তরফে দেরি বা অবহেলা হয়েছিল কি না, তার উপযুক্ত তথ্য নেই। রোগীর বাড়ির তরফে চিকিৎসায় অবহেলা বা দেরি হয়েছিল কি না, তাও জানা যাচ্ছে না। রোগীপক্ষকে প্রতিষ্ঠানটি কীভাবে ভুল পথে পরিচালিত করেছে, সেই অভিযোগ প্রমাণে তথ্য নেই। অভিমত ডিভিশন বেঞ্চের।
রোগ নির্ণয়ে দেরি। সেখানে থেকে অন্য হাসপাতালে রোগীকে পাঠানোয় দেরি। রোগীকে উপযুক্ত ওষুধ দেওয়া হয়নি। রোগ নির্ণয়ে গাফিলতি। রোগীর পক্ষকে বিপথে পরিচালিত করা হয়। মায়ের মৃত্যুতে কমিশনে অভিযোগ মৃতের সন্তানের।
কমিশন প্রতিষ্ঠানটির হলফনামা তলব করে। যা পর্যালোচনা করে কমিশনের অভিমত, রোগীকে উপযুক্ত পরিষেবা দানে যথেষ্ট ঘাটতি ছিল। যা অপরাধের নামান্তর। তাই কুড়ি লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
যে ইসিজি রিপোর্ট নিয়ে প্রাথমিক বিতর্ক, তা কোনও বিশেষজ্ঞ কার্ডিওলজিস্টকে দিয়ে কমিশন যাচাই করেনি।
আরও খবর দেখুন