অযোধ্যা: নতুন ইতিহাসের সূচনা করল দেশ। রামকে (Ram) নিয়ে বহু আইনি লড়াই হয়েছে। আজ প্রভু রাম সেই লড়াইয়ের শেষ করালেন। রাম আর তাঁবুতে (Tent) নয়, মন্দিরে (Temple) থাকবেন। বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থল রামমন্দির চত্বর। রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানস্থলে তখন শয়ে শয়ে রামভক্ত। সাধু, সন্ত, বিশিষ্টজনেরা হাজির। সেসময় উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা (Ayodhya) রামময়। দেশ রামমন্দির আবেগে ভাসছে। রামমন্দির নির্মাণ হয়েছে আদালতে অনেক আইনি লড়াইয়ের পর। মনে করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী সেই কথা বলতে চেয়েছেন। এদিন ৫০০ বছর পর মন্দিরে ফিরলেন রাম। প্রভু রামের মন্দিরে ফিরতে দেরি হওয়ার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, আজ থেকে অনেক দিন পরেও এই দিনটি নিয়ে চর্চা হবে। তিনি বলেন, এটা শুধু মন্দির নয়, ভারতের দর্শনও।
এদিন প্রধানমন্ত্রী আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠেন। তিনি বক্তব্য পেশ করার সময় বলেই ফেলেন আমার কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে আসছে। এদিন তিনি বলেন, আমাদের রাম মন্দিরে এসেছে। তখন দৃশ্যতই গলা ধরে আসে তাঁর। তবে রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, রাম আবেগকে ভর করে এর আগে নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়েছে বিজেপি। সেই লালকৃষ্ণ আদবানির সময়ে রথযাত্রা থেকে যার সূত্রপাত। সামনেই লোকসভা ভোট সে দিক দিয়ে রামমন্দির বিজেপির পালে হাওয়া দিতে পারে বলে বিজেপি শিবির মনে করছে। সেই জন্য আবেগের ঢেউ তোলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: একক বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে ইডি
এদিন ওই বক্তব্যে পেশের আগে হাতে পুজোর ডালা নিয়ে গর্ভগৃহের দিকে এগিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী। রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন প্রধানমন্ত্রী। হাতে পদ্মফুল নিয়ে পুজো করেন তিনি। রামলালার আরতি করেন। বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণ হয়। এরপর তিনি চরণামৃত খেয়ে ১১ দিনের উপবাস ভাঙেন। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্য পেশ করেন রাষ্ট্রীয় সরসঙ্ঘ চালক মোহন ভাগবত, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বললেন, আমাদের প্রজন্ম ধন্য, যাঁরা এই মুহূর্তের সাক্ষী হতে পারলেন।
আরও খবর দেখুন