কলকাতা: ধর্মতলায় ডাক্তাররা ধরনা (RG Kase Dharna Doctors) কর্মসূচির সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টে। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে কোনও নির্দেশ দিলেন না বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাস। রায় ঘোষণা স্থগিত রাখলেন বিচারপতি। আদালতে চিকিৎসকদের আইনজীবী বলেন, ডিভিশন বেঞ্চেও ওনারা একই বক্তব্য জানায়। আমরা নতুন করে আবেদন জানিয়েছি। শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে ধর্না করাই যায়। আমরা ৭-৮দিন আরও বাড়াতে চাই। ডিভিশন বেঞ্চ এর অর্ডার গাইডিং অর্ডার। পাল্টা রাজ্যের আইনজীবী বলেন, ডিভিশন বেঞ্চে আমরা একক বেঞ্চের অর্ডারে স্থগিতাদেশ চেয়ে গিয়েছিলাম। ওরা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ধর্না চালিয়ে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছে। আবার পরে সময় চাইবে। হুলিগারিজম চলছে।
এদিন চিকিৎসকদের আইনজীবী আদালতে বলেন, আমরা ২৬ তারিখের পরেও কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার আবেদন জানাই। কিন্তু পুলিশ এই অনুমতি দেয়নি। শান্তিপূর্ণ ধরনা মৌলিক অধিকার। এটা আদালতের বিষয় পুলিশের নয়। ওরা ডিভিশন বেঞ্চে যায়। সেখানে লোক কমিয়ে ১০০ জন করে ডিভিশন বেঞ্চ। মুখ্যসচিবের কাছে দু দফা আবেদন করা হয়েছে। আমরা ধরনা চালিয়ে যেতে চাই। প্রতিবাদ ধর্না আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। তার খর্ব করা যায়না।ধর্মতলায় কোন ট্রাফিকের সমস্যা হচ্ছে না। এটা আমাদের অধিকার। পুলিশ এর বিরুদ্ধে কিছু করতে পারেনা। আমরা আদালতের কাছে সেই জন্যই অনুমতি চাইছে। যদি অনুমতি না দেওয়া হয় অরাজকতার সৃষ্টি হবে। সেটা আমরা চাইনা। শান্তিপূর্ণ ভাবেই ধরনা হচ্ছে। ফের পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছিলাম, কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। তারজন্য মামলা করেছি।
আরও পড়ুন: বিড়ম্বনা বাড়ল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের
রাজ্যের আইনজীবী আদালতে জানান, কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) গত অগাস্ট মাসেই সিবিআইকে তদন্ত হস্তান্তর করেছিল। ইতিমধ্যে সুপ্রিমকোর্ট মামলাটি স্বতঃপ্রনোদিত মামলা হিসাবে গ্রহন করে। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) একাধিকবার সিবিআইয়ের থেকে তদন্ত রিপোর্ট নিয়েছে। সিবিআই তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ার মুল অভিযুক্ত। এখন ডাক্তারদের দাবি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিতে হবে। এই বিষয়টি তদন্তের বিষয়। কিন্তু এই দাবি নিয়ে আগেই সাত দিনের ধরনা কর্মসূচি করতে চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। তাতে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দেয় হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট শান্তিপূর্ণ ধরনা মিছিল করার অনুমতি দিয়েছে, তার মানেই যখন খুশি যে খুশি, যতদিন খুশি ধরনা করতে পারবে? সমস্যা সৃষ্টি করা ছাড়া ধরনা আর কিসের জন্য?
বড়দিনের ছুটির প্রচণ্ড ভিড় এমনিতেই রাস্তাঘাটে। কেন এখন ধরনা করা হবে? যতদিন না সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হবে তারমানে কি ততদিন ধরনা চলবে ? এটা তো সিবিআই তদন্তের বিষয়। ট্রাফিকের সমস্যা করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। ছবি দিয়ে দাবি ধর্মতলার মতো ব্যাস্ত জায়গায় ট্রাফিকের সমস্যা হচ্ছে।
বলা হয়েছিল ডরিনা ক্রসিং অঞ্চলের জান নিয়ন্ত্রণে কোন প্রভাব যাতে না পরে। অথচ আঁকা হয়েছে রাস্তা জুড়ে সেই সময় রাস্তার সার দিয়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে। পুলিশের কাছে সেই ছবি ধরা পড়েছে আদালতে পেশ করতে চাই।
ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি হরিশ ট্যাণ্ডন নির্দেশ দিয়েছিলেন আদৌ এদের ধরমা করার অধিকার আছে কিনা তা বিবেচনা করে দেখবে একক বিচারপতির বেঞ্চ। কারণ বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এই অনুমতি দিয়েছিলেন।এই পরিস্থিতি নতুন মামলা হতে পারেনা সময়সীমা বাড়ানোর দাবিতে। এই মামলা গ্রহণযোগ্য নয়। ডিভিশন বেঞ্চও একক বেঞ্চের নির্দেশের পক্ষেই মান্যতা দেওয়া নিয়ে মত দেয়। জাস্টিস ইস নট এ ওয়ান অফ ট্রাফিক। Its টু ওয়ে ট্রাফিক। এই আবেদন খারিজ হোক উইথ কস্ট। ডাক্তাররা ডেলিভারি বিল করছে ৬ লক্ষ টাকা। মানুষের উচিত এঁদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামা।
অন্য খবর দেখুন