হুগলি: বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে (Locket Chatterjee) পরাজিত করে হুগলি লোকসভা (Hooghly Lok Sabha) কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachna Banerjee) জয়ী হয়েছেন ৭৬ হাজার ৮৫৩ ভোটে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্রে লকেট চট্টোপাধ্যায় জয়ী হন ৭৩ হাজারের বেশি ভোটে। এবার এই কেন্দ্রে রচনা জয় পেলেও সে জয়ে কাঁটা হয়ে রইল তিনটি বিধানসভায় হার। এই কেন্দ্রের অধীনে সিঙ্গুর, ধনেখালি, পাণ্ডুয়া, চন্দননগর বিধানসভা ক্ষেত্রে তৃণমূল জয়ী হলেও চুঁচুড়া, সপ্তগ্ৰাম, বলাগড় বিধানসভা কেন্দ্রে লিড পেয়েছেন বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিন বিধানসভা কেন্দ্রে কেন হার হল, তা নিয়ে তৃণমূলে কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে। তার মধ্যে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার এই হার নিয়ে কটূ কথা বলায় একাধিক পঞ্চায়েতের প্রধান (TMC Panchayat Members Chinchura) এবং উপপ্রধান ইস্তফা দিয়েছেন। তা নিয়েও দলে জলঘোলা চলছে।
এবারের লোকসভা ভোটে বিজেপি চুঁচুড়া বিধানসভায় ৮২৬৪, সপ্তগ্ৰাম বিধানসভায় ২৪৯২, এবং বলাগড় বিধানসভায় ৫৯৪৭ ভোটে এগিয়ে রয়েছে। তৃণমূলের হারের পরই চুঁচুড়া বিধানসভা এলাকার একের পর এক পঞ্চায়েত প্রধান এবং উপপ্রধান পদত্যাগ করলেন। তাঁদের অভিযোগ, রচনা ভোট কম পেয়েছেন বলে স্থানীয় বিধায়ক অসিত মজুমদার তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। তাই তাঁরা ইস্তফা দিয়েছেন। অসিত অবশ্য দুর্ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ওদের বিবেক আছে বলে পদত্যাগ করেছে।
আরও পড়ুন: উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী
হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায় বলেন, এই ফলাফল নিয়ে দলে আলোচনা হবে। শহরাঞ্চলে ফল খারাপ হয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের যে সমস্ত ভুলভ্রান্তি আছে সেগুলো কাটিয়ে উঠতে হবে। আত্মবিশ্লেষণও করতে হবে। সপ্তগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত বলেন, দলের অনেকে বসে গিয়েছেন। তাছাড়া বামেদের বহু ভোট রামে চলে গিয়েছে। একাধিক প্রধান এবং পুরসভার কাউন্সিলরের অভিযোগ, দলের নেতারাই এই হারের জন্য দায়ী। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য স্বপন পাল জানান, লোকসভা ভোটে হারের পর্যালোচনা হবে।
অন্য খবর দেখুন