ওয়েব ডেস্ক: ভুয়ো ভোটার নিয়ে দুই দলের নালিশও এক, দাবিও এক। তবে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে এবার দিল্লির নির্বাচন কমিশনে দ্বারস্থ হল তৃণমূল বিজেপি উভয় দলই। ইতিমধ্যেই ভুয়ো ভোটার নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কমিশনের পক্ষ থেকে মেলেনি কোন সদুত্তর। অন্যদিকে রাজ্যে ভুয়ো ভোটারের সংখ্যা বাড়া নিয়ে তৃণমূলকেই দায়ি করছে বিজেপি।
এদিন দিল্লির নির্বাচন কমিশনে তৃণমূলের ১০ সাংসদের এক প্রতিনিধি দল দ্বারস্থ হন। সেই দলে উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও ব্রায়েনের মতো সিনিয়র সাংসদরা। দীর্ঘক্ষণ চলে বৈঠক। বৈঠক শেষে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ইস্যু তুলেছিলেন, সেই বিষয়টা বলেছি। একটি এপিক নম্বরে একাধিক ব্যক্তির নাম আছে। একটা এপিক কার্ডে একাধিক ভোটার থাকলে সেটা অবৈধ। দুই জেলার দুজন লোকেরও একই এপিক নম্বর। এটা বেআইনি। তাঁরা তো আলাদা দফার ভোটে এসে ভোট দিতে পারবেন। নির্বাচন কমিশনের ২৮ নম্বর রুলেই উল্লেখ আছে, একটা এপিক নম্বরে একজনই ব্যক্তি থাকবে।”
আরও পড়ুন: দোলের দিন দুপুর থেকে মিলবে পরিষেবা, চলবে কম মেট্রো
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই এপিক নম্বর নিয়ে এখন রাজ্য রাজনীতি উত্তাল।
আর এই ইস্যু নিয়ে একদিকে যখন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল হাজির হয়েছে নির্বাচন কমিশনে, অন্যদিকে বিজেপির এক প্রতিনিধিদলও এই এক অভিযোগ নিয়ে এর আগে কমিশনের দ্বারস্থ হয়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং আইটি সেল প্রধান অমিত মালব্যদের নেতৃত্বে ওই প্রতিনিধিদল উপস্থিত হয়েছিল। তাদের দাবি, ভুয়ো ভোটারের আমদানি তৃণমূল জমানাতেই। বিজেপির দাবি, রাজ্যে ১৩ লক্ষের বেশি ভুয়ো ভোটার আছে। কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে অমিত মালব্যর অভিযোগ, “নির্বাচন কমিশনকে আমরা জেলাওয়াড়ি তথ্য তুলে দিয়েছি। ১৩,০৩,০৬৫ নাম আমরা তুলে দিয়েছি কমিশনের হাতে। পশ্চিমবঙ্গের সিইও অফিস তৃণমূলের দ্বিতীয় অফিস। তাঁদের দিয়ে এই কাজ করা হয়েছে।” গেরুয়া শিবির চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে তৃণমূল স্বচ্ছ্ব ভোট করাতে চাইলে বায়োমেট্রির মাধ্যমে ভোট করাক।
দেখুন অন্য খবর