করোনাকালে একদিকে যখন পথে বসতে চলেছেন দেশ-বিদেশের নানা রেঁস্তরার ব্যবসায়ীরা, ঠিক সেই সময় সবাইকে অবাক করে বিশ্বের সবচেয়ে দামি বার্গার তৈরি করলেন ডাচ শেফ রবার্ট জ্যান ডে ভিন (Robbert Jan de Veen) । নেদারল্যান্ডের ডি ড্যালটন ডাইনার (De Daltons diner) রেঁস্তরার শেফের তৈরি বার্গার বিক্রি হয়েছে পাঁচ হাজার ইউরোতে। ভারতীয় মুদ্রায় যার দাম চার লাখেরও বেশি।
বার্গারের মূল আকর্ষণ সোনার পাতা, কেশর, ওয়্যাগইউ বিফ (Wagyu Beef), এটি বিশেষ ধরনের জাপানি গরুর মাংস, মাছের ডিম। এ ছাড়াও রয়েছে বার্গার তৈরিতে প্রয়োজনীয় উপকরণগুলি। নাম দেওয়া হয়ছে দ্য গোল্ডেন বয়।
বার্গারের দাম শুনে রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ নেট দুনিয়ার অনেকেরই। তা-ও আবার এই করোনার বাজারে।
তা এই বার্গারের দাম এত বেশি রাখা হল কেন, সেই প্রশ্নে শেফ ভিন জানিয়েছেন, বার্গারে যে বিশেষ ধরনের মাছের ডিম, বেলুগা ক্যাভিয়ার, (Beluga Caviar) ব্যবহার করা হয়েছে তা অত্যন্ত দামি। আর বর্তমানে এই ক্যাভিয়ারের দাম কেজি প্রতি প্রায় ৭-১০হাজার মার্কিন ডলার। এরপরই ওয়্যাগইউ বিফ, বিশ্বের সবথেকে সুস্বাদু এই গরুর মাংসের দাম পাউন্ড প্রতি দাম প্রায় দুশো ডলার।
তবে দাম দেখে যে নিন্দুকেরা নাক সিঁটকেছেন, তাঁদের জানিয়ে রাখি এই হ্যামবার্গারটি একটি বিশেষ উদ্দেশ্যে তৈরি করেছেন এই ডাচ শেফ। গত ২৮শে জুন বার্গারটি নেদারল্যান্ডের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রিমিয়া ইন্টারন্যাশনলের (Remia International) তরফে কেনা হয়। এবং রয়্যাল ডাচ ফুড ও বেভারেজ অ্যাসোশিয়েসনের চেয়ারম্যান রবার উইলেমসি (Rober Willemse) জানান, হ্যামবার্গারটি বিক্রি করে যে মূল্য পাওয়া গেছে তার পুরোটাই দান করে দেওয়া হবে একটি এনজিও-কে। নেদারল্যান্ডের যতগুলি ফুড ব্যাঙ্ক আছে তার দেখভালের দায়িত্ব রয়েছে এই সংস্থা।
দ্য গোল্ডেন বয়ের আগে, ২০১১ সালে বিশ্বের সবচেয়ে দামি হ্যামবার্গার বানিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ওঁরেগাঁও-র একটি রেস্টুরেন্ট। সেই বার্গারের দাম রাখা হয়েছিল পাঁচ হাজার ডলার। আর এই বার্গারে ওজন ছিল ৩৫২.৪৪ কেজি।
ছোটবেলা থেকেই বিশ্ব রেকর্ড সৃষ্টির স্বপ্ন দেখতেন ভিন। তাঁর এই হ্যামবার্গারের মাধ্যমে সেই স্বপ্নই তিনি পূরণ করলেন বলে জানিয়েছেন ভিন। পাশাপাশি ইনস্টাগ্রামে এই নিয়ে একটি ছবিও পোস্ট করেছেন তিনি।