জলপাইগুড়ি : স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে তিস্তা নদী। তিস্তায় বন্যা পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। কিছুটা হলেও কমেছে জলস্তর। রাত থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় স্বস্তি নদীপারের বাসিন্দাদের। জল কমতেই বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া মানুষজন।
বুধবার রাত থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হয়েছে উত্তরবঙ্গে। তিস্তা নদীর জলস্তর কমতেই লাল সতর্কতা উঠে গিয়েছে নদীর দুই পার থেকে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে জলপাইগুড়ির সারদা পল্লী, সুকান্ত নগর। তিস্তা নদীর জলে ডুবে গিয়েছিল বহু ঘরবাড়ি। বাঁচার আশায় ওই এলাকার মানুষজন উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। জলস্তর কমতেই ত্রাণ শিবির থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন মানুষজন। তবে এখনও অনেকের বাড়িতেই জল, কাদা জমে রয়েছে।
আরও পড়ুন : মুম্বই মাদক মামলা: চাঙ্কি পাণ্ডের সঙ্গে এনসিবি দফতরে অনন্যা
গত সোমবার থেকে একটানা বৃষ্টির জেরে তিস্তার জল এতটাই বেড়ে যায় তিস্তা পারের প্রায় দেড় হাজার বাড়ি জলের তলায় চলে যায়। বিপাকে পড়েছিলেন প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। তিস্তার ওই ভয়াবহ রূপ ১৯৬৮ সালের লক্ষী পুজোর দিনের সেই ভয়ংকর স্মৃতি উসকে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ১৯৬৮ সালে লক্ষী পুজোর দিনে প্রবল বর্ষণে প্রাণ গিয়েছিল বহু মানুষের। বিশেষ করে জলপাইগুড়ি শহর-সহ জেলার অনেক জায়গা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। শিলিগুড়ি-কালিম্পং টয় ট্রেন লাইন তিস্তার জলোচ্ছ্বাসে বেলাইন হয়ে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন : গড়িয়াহাট জোড়া খুন কাণ্ডে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজত পরিচারিকা মিঠু হালদারের
তিস্তা নদীর দুই পার থেকে লাল সংকেত বাতিল হতেই ভিড় জমিয়েছেন পর্যটকেরা। নদীর পাড়ে জুবিলি পার্কে ভিড় জমিয়েছেন অনেকেই। তিস্তা পাড়ে দাঁড়িয়েই ছবি তুলতে দেখা যায় অনেক পর্যটককে।