প্যারিস: আফ্রিকার (Africa) কোনও দেশ এর আগে ফুটবল বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে (Semi-Final match of the Football World Cup) যায়নি। অঘটনের স্বপ্নে বিভোর অনেক ফুটবলপ্রেমী (Football Lovers) এবার মরক্কোকে বিশ্বকাপের ফাইনালে দেখতেও চাইছিলেন। আশায় বুক বেঁধেছিলেন মরক্কানরাও। কিন্তু বুধবার সেমিফাইনাল ম্যাচে ফ্রান্সের কাছে ০-২ ব্যবধানে হেরেছে মরক্কো। স্বপ্নভঙ্গ, ছন্দপতন, আশাহত – যাই বলুন না কেন, মরক্কোর এই হার মেনে নিতে পারেনি সে দেশের জনগণ। বুধবার মরক্কো হারায় ফ্রান্সের লিওঁ (Lyon)-তে রাতে দাঙ্গা বেঁধে যায়। দাঙ্গার ছবি ধরা পড়েছে মন্টপেলিয়ের (Montpellier)-এর একাধিক স্থানেও।
?#BREAKING Riots Break out after the victory of France wins tonight’s game
Riots Break out after the victory of France winning the world cup as they clash between French and Moroccan supporters over France winning pic.twitter.com/PWFst4ktxT
— R A W S G L ? B A L (@RawsGlobal) December 14, 2022
ফ্রান্সের কাছে হারের পর মরক্কান সমর্থকরা রীতিমতো অগ্নিশর্মা হয়ে পড়েন। উত্তেজিত মরক্কান সমর্থকদের একাধিক ভিডিয়ো মাইক্রো-ব্লগিং ওয়েবসাইট টুইটারে (Twitter) শেয়ার হয়েছে। দেখা গিয়েছে, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে আসায় তাদেরকে লক্ষ্য করেও হামলা চালায় দাঙ্গাকারীরা। ডাস্টবিন থেকে নোংরা-আবর্জনা পর্যন্ত তুলে ছুঁড়ে মারা হয়। শেষ পর্যন্ত পুলিশ টিয়ার গ্যাসের সেল ব্যবহার করতে বাধ্য হয়। মরক্কান সমর্থকদের দাঙ্গা বাধানোর চিত্র দেখা গিয়েছে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসেও।
Rioting breaks out in Lyon, France as Morocco was defeated by France in the #FIFAWorldCup. pic.twitter.com/PktIBCTAeI
— Andy Ngô ?️? (@MrAndyNgo) December 14, 2022
মরক্কান সমর্থকদের দাঙ্গা বাধানোর চিত্র দেখা গিয়েছে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসেও।
আরও পড়ুন: FIFA World Cup 2022: মরক্কোর রূপকথার সফর শেষ, ফাইনালে মুখোমুখি আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স
১৯১২ সাল থেকে ১৯৫৬, চার দশক ফরাসী উপনিবেশের আধিপত্য সইতে হয়েছিল মরক্কোকে। ঔপনিবেশিকতা নিয়ে শত্রুতা ও বিদ্বেষের একটা ইতিহাস রয়েছে ইউরোপের দেশ ফ্রান্স এবং উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোর মধ্যে। মরক্কোকে এখনও বিভিন্ন মহলে এক সময়কার ফ্রেঞ্চ কলোনি (French Colony) হিসেবে উল্লেখ করা হয় আন্তর্জাতিক মহলে, যা সবসময় জ্বালা ধরায় মরক্কানদের মনে। উপনিবেশকতিবাদ বহুদিন আগেই দুনিয়া থেকে মুছে গেলেও, মরক্কো তার দাসত্বের ইতিহাস এখনও ভুলতে পারেনি। এখানে উল্লেখ করার মতো বিষয় হয়, ৩৮ মিলিয়ন জনসংখ্যার দেশ মরক্কোর ৫ মিলিয়ন (৫০ লক্ষ) মরক্কোন ফ্রান্সে থাকেন। ২০১৯ সালের হিসেব বলছে, ফ্রান্সের জনসংখ্যায় অ-ইউরোপীয় ইউনিয়ন অভিবাসী (Non-European Union Immigrant) হিসেবে মরোক্কানরা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। মোট জনসংখ্যায় তাঁদের অবদান ১৮.৪ শতাংশ।
(টুইটারে শেয়ার হওয়া এই সমস্ত ভিডিয়োর সত্যতা কলকাতাটিভি অনলাইন যাচাই করেনি)