ডাবলিন: সুযোগের সদ্ব্যবহার করলেন রিঙ্কু সিং (Rinku Singh)। আয়ারল্যান্ডের (Ireland) বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজের (T20 Series) প্রথম ম্যাচে অভিষেক হলেও ব্যাট করার সুযোগই পাননি তিনি। এদিন পাঁচ নম্বরে নামলেন এবং ২১ বলে ৩৮ রানের ছোট কিন্তু বিধ্বংসী ইনিংস খেললেন উত্তরপ্রদেশের ছেলেটি এবং নিয়ে গেলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। রিঙ্কুর ইনিংসে ছিল দুটি চার এবং তিনটি ছয়। উচ্চতা বেশি না হলেও তাঁর দুই হাতে কতটা শক্তি রয়েছে তা আবারও দেখা গেল। এক্সট্রা কভারের উপর দিয়ে যে ছয়টা তিনি মারলেন, সেটা অনেকদিন মনে থাকবে।
এ বছরের আইপিএলে (IPL) দুরন্ত ফর্মে ছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের (KKR) ব্যাটার। দলে আন্দ্রে রাসেলের (Andre Russell) মতো পাওয়ার হিটার থাকতেও ‘ফিনিশার’ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। একার হাতে একাধিক ম্যাচ জিতিয়েছেন। আইপিএলের সেই অভিজ্ঞতাই এদিন কাজে লেগেছে বলে জানিয়েছেন রিঙ্কু। ম্যাচের পর পুরস্কার নিতে এসে রিঙ্কু বললেন, “খুবই ভালো লাগছে। আইপিএলে যা করি তাই করার চেষ্টা করছিলাম। আমি খুবই আত্মবিশ্বাসী ছিলাম এবং শান্ত থাকার চেষ্টা করেছি।”
আরও পড়ুন: ডুরান্ডের কোয়ার্টার ফাইনালে মোহনবাগান
দীর্ঘ অপেক্ষার পর জাতীয় দলে সুযোগ পেলে টেনশনে কিংবা আনন্দের আতিশয্যে বাড়াবাড়ি করে ফেলা রিঙ্কুর মতো তরুণের পক্ষে অসম্ভব নয়। কারণ নিজেকে প্রমাণ করার বাড়তি তাগিদ থাকে এবং তা থেকে বিপর্যয় হওয়া অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু রিঙ্কু পরিণত মস্তিষ্কের পরিচয় দিলেন। ক্রিজে এসেই দুমদাম শট চালাননি। প্রথম দিকে শর্ট রান নিচ্ছিলেন, নিজেকে থিতু করলেন এবং ভারতের ইনিংস শেষের দিকে আসতেই বল বাউন্ডারিতে পাঠানো চালু করলেন। শিবম দুবের (Shivam Dubey) সঙ্গে তাঁর ২৮ বলে ৫৫ রানের পার্টনারশিপই ভারতকে ২০ ওভারে ১৮৫ রানে পৌঁছে দেয়।
মাথা ঠান্ডা রাখলে ভবিষ্যতে শুধু টি২০ নয়, ৫০ ওভারের ফর্ম্যাটেও নীল জার্সি উঠতে পারে কেকেআর ব্যাটারের গায়ে। এদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজে টি২০ সিরিজ হারের পর আইরিশদের বিরুদ্ধে সিরিজ জিতে গেল ভারত। পরপর দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ পকেটে পুরলেন অধিনায়ক জসপ্রীত বুমরা (Jasprit Bumrah)। এদিন বল হাতে ফের অনবদ্য তিনি, চার ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে দুই উইকেট নিলেন।