হারের হ্যাটট্রিকের সামনে দুই দল।
বৃহস্পতিবার আই এস এল-এর ম্যাচে গুয়াহাটির ইন্দিরা গান্ধী অ্যাথলেটিক স্টেডিয়ামে মুখোমুখি যে দুই দল, তাদের সামনে হারের হ্যাটট্রিকের আশঙ্কা। কারণ ইস্ট বেঙ্গল এবং নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড প্রথম দুটি ম্যাচেই হেরে গেছে। দু দলেরই তিন নম্বর ম্যাচে তাই হারের হ্যাটট্রিকের ব্যাপারটা ভাবাচ্ছে।
বুধবার বিকেলে গুয়াহাটি পৌছে গেল ইস্ট বেঙ্গল। তারা আর প্র্যাক্টিস করবে না। বৃহস্পতিবার সরাসরি ম্যাচে নামবে। এই ম্যাচে ইস্ট বেঙ্গল পাচ্ছে না তাদের দুই ব্রাজিলিয়ানকে। অ্যালেক্স লিমা এবং এলিয়ান্দ্রো দুজনেই চোটের তালিকায়। লিমা প্র্যাক্টিস শুরু করলেও এলিয়ান্দ্রো এখনও তা করেননি। তাদের নিয়ে যাওয়া হয়নি টিমের সঙ্গে। দলের সঙ্গে গেছেন চার বিদেশি ইভান গঞ্জালেস, ক্লেটন সিলভা, জর্ডন ডোহার্টি এবং কারিয়াকু। এঁরা চারজনই খেলবেন নর্থ ইস্টের বিরুদ্ধে। ইস্ট বেঙ্গলের এবারের বিদেশিরা খুব খারাপ খেলছেন না। নিজের প্রথম ম্যাচে ডিফেন্সিভ মিডিও হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার জর্ডন বেশ ভালই খেলেছেন এফ সি গোয়ার বিরুদ্ধে। কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছে ইস্ট বেঙ্গল হারলেও সে ম্যাচে একটা চমৎকার গোল ছিল অ্যালেক্স লিমার। ক্লেটন সিলভা কিংবা ইভান গঞ্জালেসরা টিমের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এফ সি গোয়া ম্যাচে ক্লেটন তো পেনাল্টি থেকে গোলও করেছেন।
নর্থ ইস্টের সঙ্গে ইস্ট বেঙ্গল এখন পর্যন্ত কোনও ম্যাচ জেতেনি। গত দু বছরের চারটি ম্যাচের মধ্যে ইস্ট বেঙ্গল হেরেছে তিনটিতে। বাকি ম্যাচটি ড্র হয়েছে। এই মরসুমে নর্থ ইস্ট দুটো ম্যাচেই হেরেছে। প্রথম ম্যাচে বেঙ্গালুরুর সঙ্গে তারা হেরেছে ০-১ গোলে। সে ম্যাচে তাদের একটি গোল বাতিল হয়েছিল। তা নিয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে তাদের কোচ মার্কো বালবুল লাল কার্ড দেখেছিলেন। তবে ইস্ট বেঙ্গলের বিরুদ্ধে তিনি ডাগ আউটে বসবেন। বালবুল বলেছেন, “ইস্ট বেঙ্গল খুবই শক্তিশালী টিম। কিন্তু ওদেরও দুর্বলতা আছে। আমরা সেটা জানি এবং তা কাজে লাগাবার চেষ্টা করব।” নর্ধ ইস্টের গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্য গত বছর ইস্ট বেঙ্গলের অধিনায়ক ছিলেন। এবার দ্বিতীয় ম্যাচে হায়দরাবাদ এফ সি-র কাছে তাঁর দল ০-৩ গোলে হেরেছে। বারের নীচে ছিলেন অরিন্দমই। বৃহস্পতিবার ইস্ট বেঙ্গলের বিরুদ্ধে তাঁরও অগ্নিপরীক্ষা।
ইস্ট বেঙ্গলের সাফল্য অনেকটাই নির্ভর করবে তাদের স্বদেশী ব্রিগেডের উপর। কমলজিৎ সিং, সার্থক গোলুই, অঙ্কিত মুখার্জি, লালরেনজোয়ালা, শৌভিক চক্রবর্তী, সুমিত পাসি কিংবা ভি পি সুহেররা আই এস এল-এর নিয়মিত প্লেয়ার। সুহের তো গত বছর নর্থ ইস্টে ছিলেন। তিনি অনেকটাই চেনেন টিমটাকে। তাঁর পরামর্শ তাই কাজে লাগবে স্টিভন কনস্ট্যানটাইনের। ইস্ট বেঙ্গল কোচ পর পর দুটো ম্যাচ হেরে চিন্তিত নন। বলেছেন, “প্রথম ম্যাচে আমরা ৭২ মিনিট পর্যন্ত গোল খাইনি। দ্বিতীয় ম্যাচের দ্বিতীয়ার্দ্ধে যা ফুটবল খেলেছে আমার টিম তাতে আমি খুশি। এই খেলাটাই চাই। আমাদের ধারাবাহিকতা দেখাতে হবে।” নর্থ ইস্ট টিমে তেমন তারকা ফুটবলার নেই। তারা টিম গেমের উপর নির্ভর করতে চায়। এখন পর্যন্ত দুটো ম্যাচে গোলের মুখ দেখেনি টিমটা। ইস্ট বেঙ্গল যদি এই টিমকে হারাতে না পারে তাহলে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাল কিছু হওয়ার চিন্তা না করাই ভাল।