কলকাতা: ঠিক পাকিস্তান ম্যাচের গল্প। তুমুল হইচই, জল্পনা কল্পনার পরে পর্বতের মূষিক প্রসব। ভারতের পরে এই বিশ্বকাপের সেরা দল দক্ষিণ আফ্রিকা। ইডেন গার্ডেন্সে তারা রোহিত শর্মাদের কাঁটে কা টক্কর দেবে, এমনটাই মনে হচ্ছিল। কোথায় কাঁটা, গোলাপের পাপড়ি বিছানো রাস্তায় হাঁটল ভারত। প্রোটিয়াদের ২৪৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারাল।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন রোহিত। বিরাট কোহলির ঐতিহাসিক শতরান, শ্রেয়স আইয়ারের ৭৭ রানে ভর করে ৩২৬ করে ভারত। ব্যাটিং স্বর্গ নয় এমন উইকেটে এই রান তাড়া করা কঠিন। দক্ষিণ আফ্রিকা এমনিতেই রান তাড়া করতে গিয়ে ছড়িয়ে ফেলে। কিন্তু তারা এতটা ছড়াবে ভাবা যায়নি। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের খেলা একেবারে একপেশে হয়ে দাঁড়াল।
আরও পড়ুন: কোহলির ৪৯তম সেঞ্চুরিতে স্বয়ং ঈশ্বরের প্রতিক্রিয়া কী?
Birthday Boy Virat Kohli makes the occasion even more special as he receives the Player of the Match award for his fantastic ton 👏👏
Scorecard ▶️ https://t.co/iastFYWeDi#TeamIndia | #CWC23 | #MenInBlue | #INDvSA pic.twitter.com/vB0URaxGjG
— BCCI (@BCCI) November 5, 2023
ভারতের এই সাফল্যের কারণ আসলে বোলাররা। এমন একজনও নেই যাঁকে প্রতিপক্ষের ব্যাটাররা টার্গেট করতে পারে। একে দেখে খেলব, ওকে মারব এই সুযোগটাই নেই। সে কারণেই কোনও দিন শামি আগুন ঝরাচ্ছেন তো কোনও দিন জাদেজা। আজ যেমন পাঁচ উইকেট নিলেন জাড্ডু। তাঁর ঘূর্ণিতে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল প্রোটিয়া ব্যাটিং। কুলদীপ যাদব দলের এক নম্বর স্পিনার। তিনি যখন বল করতে এলেন ততক্ষণে ছয় উইকেট পড়ে গিয়েছে। শ্রীলঙ্কা ম্যাচে তো বল করার সুযোগই পাননি।
এখন কোটি টাকার প্রশ্ন হল, এই ভারতীয় দলকে হারাবে কে? জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ দিয়ে খুঁজলেও তো কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ১৯৯৯ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত স্টিভ ওয়া এবং রিকি পন্টিংয়ের অস্ট্রেলিয়ার আধিপত্য দেখেছি। সেই দলও এতটা নির্মম ছিল না। বিশ্বকাপ শুরুর আগেই একাধিক বিশেষজ্ঞ বলে দিয়েছিলেন, ভারত ট্রফি জিতলে সেটা অঘটন হবে। এখন এই ফর্ম দেখে মনে হচ্ছে অঘটন নয়, ভারতকে থামাতে গেলে মিরাকল চাই।