কলকাতা: ২ হাজার টাকার নোট ছাপা বন্ধ হয়েছে সেই ২০১৮-১৯ সালে, বছর পাঁচেক আগেই। রিজার্ভ ব্যাঙ্কই জানাচ্ছে, এই নোটের পরিমাণ কমছে দ্রুতগতিতে। তাহলে হঠাৎ এখনই কেন নোট ফিরিয়ে নেবার ঘোষণা? রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ক্যাশ সংকট মেটাতেই কি, উঠছে প্রশ্ন।
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর ৫০০ ও এক হাজার টাকার নোট বাতিল করা হয়। এর পরেই বাজারে আনা হয়েছিল গোলাপি রঙের দু’হাজার টাকার নোট। বছর দ’য়েক পরে ওই নোট ছাপানো বন্ধ করা হয়। এর পরে ধারাবাহিক ভাবে কমেছে দু’হাজার টাকার নোট।
কমেছে দু’হাজারি নোট
২০১৮-র ৩১ মার্চ বাজারে ছিল ৬ লক্ষ ৭৩ হাজার কোটি টাকার গোলাপি নোট। সেটা ছিল মোট বাজার চলতি টাকার ৩৭.৩ শতাংশ। শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, দু’হাজারি নোট এখন রয়েছে ৩ লক্ষ ৬২ হাজার কোটি টাকার। এটা বাজারে বর্তমানে চালু টাকার মাত্র ১০.৮ শতাংশ। তাহলে এখনই নাটকীয় ভাবে কেন এই নোট প্রত্যাহার?
আরও পড়ুন: SSKM | Madan | এসএসকেএম রোগী ফেরানো নিয়ে বিস্ফোরক মদন
আর্থিক বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলছেন, ব্যাঙ্কগুলো ভুগছে ক্যাশ সংকটে। বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে চলছে পুঁজির সমস্যা। কেন্দ্রের তরফে এইসব ব্যাঙ্কে পুঁজি দেওয়া দরকার। কিন্তু ভোটের ঠিক আগে হাতে টাকা চাই কেন্দ্রের। দু’হাজারি নোট ফিরিয়ে নেওয়া শুরু হলে আমজনতা ব্যাঙ্কে টাকা জমা দেবেন। ব্যাঙ্কে দু’হাজারি নোটে জমা পড়বে সাড়ে তিন লক্ষ কোটিরও বেশি টাকা। এর একটা বড়সড় অংশ তখনই না-ও তুলতে পারেন জমাকারীরা। কেন্দ্রের সহায়তা ছাড়াই এতে আপাতত মিটবে ব্যাঙ্কগুলোর ক্যাশ সংকট। ব্যাঙ্কগুলোও বিনিয়োগকারীদের বাড়তি ঋণ দিতে পারবে, ভোটের আগে গতি ফিরতে পারে অর্থনীতির চাকায়। তাই কি নোট ফেরত? এক ঢিলেই কি মারতে চাওয়া কয়েকটি পাখি? উঠছে প্রশ্ন।