বারাসত: নাবালক খুন এবং ছেলেধরা রহস্যের সমাধান করে ফেলল বারাসত থানার (Barasat Police station) পুলিশ। ভাইপো ফারদিনকে খুন করেছিল তার জেঠু আঞ্জিব নবি। সন্দেহের তির অন্যদিকে ঘোরাতে সে-ই ছেলেধরার গুজব ছড়ায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুলিশের জেরায় যাবতীয় জারিজুরি ফাঁস হয়ে গেল আঞ্জিবের। রবিবার বারাসতের পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝারখারিয়া জানালেন, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে ভাইয়ের ছেলেকে খুন করে আঞ্জিব। সেই পাপ ধামাচাপা দিতে এবং পুলিশকে ধোঁকা দিতে ছেলেধরার গল্প ফেঁদেছিল।
পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে ভাই গোলামের সঙ্গে অনেকদিনের বিবাদ আঞ্জিবের। গত ৭ জুন তালগাছের ফলের হিসেব নিয়ে নতুন করে ঝামেলা হয়। এই ঘটনার পর ১১ বছরের ফারদিন নবি জেঠু আঞ্জিবের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। সেই থেকে শোধ নেওয়ার ইচ্ছে জাগে তার। ভাই গোলামের থেকে নাবালক ভাইপো ফারদিন সহজ নিশানা তাই তাকেই গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করে আঞ্জিব। তারপর পরিত্যক্ত শৌচাগারে ঝুলিয়ে দিয়ে আসে যাতে মনে হয় আত্মহত্যা। এই ঘটনা ৯ জুনের।
আরও পড়ুন: ফাটল মাথা, বকেয়া টাকা চাওয়ায় আক্রান্ত ব্যবসায়ী
১৩ জুন ফারদিনের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপরেই মাস্টারস্ট্রোক দেয় তাঞ্জিব এবং এ ব্যাপারে নিজের পেশার সদ্ব্যবহার করে। তাঞ্জিব মসজিদে আজান দেয়, গ্রামের মানুষকে বার্তা দেওয়া তার কাছে জলভাত। সেভাবেই ছেলেধরার মিথ্যে কাহিনি ছড়িয়ে দেয় সে, বলতে থাকে গ্রামে নতুন থাকতে আসা মহিলাদের দেখলেই মারধর করতে হবে। বারাসতের কাজিপাড়ার এই ঘটনার জের অশোকনগর, বনগাঁ, গাইঘাটা, খড়দহে ছড়ায়। ছেলেধরা সন্দেহে একাধিক গণপিটুনির ঘটনা ঘটে।
দেখুন অন্য খবর: