গুজরাতের ব্রিজ ভেঙে মৃত্যু হল বাঙালি যুবকের। মৃত ওই যুবকের নাম হাবিবুল শেখ। তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর মুকসিম পাড়ায় কেশববাটি এলাকায়। রবিবার ছট পুজোর বিকেলে গুজরাতের মোরবিতে মাচ্ছু নদীতে ব্রিটিশ আমলের একটি ঝুলন্ত সাঁকো ভেঙে এই দুর্ঘটনা ঘটে। গতকাল সেখানেই বেড়াতে গিয়েছিলেন হাবিবুল।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ মাস আগে তাঁর এক কাকার কাছে সে সোনার কাজের জন্য গিয়েছিলেন। গতকাল বিকেলে সে ওই সেতুর উপর বেড়াতে যান। তখনই ঘটে বিপত্তি। বেশ কিছুক্ষণ নিখোঁজ থাকার পর গতকাল রাতেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। গতকালই গভীর রাতে ওই যুবকের মৃত্যুর খবর বাড়িতে পৌঁছাতে শোকের ছায়া। এদিন মৃত ওই যুবকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন পূর্বস্থলী উত্তরের তৃণমূলের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়।
সোমবার সকালে হাবিবুলের বাবা মহিবুল শেখ জানান, ছেলে সোনার কাজের জন্য গুজরাতে এক কাকার কাছে গিয়েছিল। সেখানেই থাকত।গতকাল গভীর রাতে খবর আসে যে সেতু ভেহে পড়েছে। তারপরই রাতে ছেলের মৃত্যুর খবর আসে। সোমবার সকাল থেকেই মৃত ওই যুবকের বাড়ির সামনে বহু মানুষের ভিড় করেছেন।
প্রসঙ্গত, মাত্র ৫ দিন আগেই সেতুটি সংস্কার করে খুলে দেওয়া হয়েছিল। প্রায় শতাব্দীপ্রাচীন সেতুটি সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ অবস্থায় পৌঁছেছিল। মেরামতের পরও এই ঘটনা ঘটায় গুজরাত সরকার বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছে। শুধু রাজনৈতিক সমালোচনা নয়, এই মর্মান্তিক ঘটনার পর এদিন সকাল থেকে মোরবি শহরে অঘোষিত বনধ পালিত হচ্ছে। কোনও রাজনৈতিক দলের সমর্থনে নয়, শহরের বাসিন্দারাই সোমবার সকাল থেকে ঘরবন্দি। স্কুল-কলেজ থেকে দোকানপাট সব বন্ধ। গোটা শহর শ্মশানপুরীর মতো খাঁ-খাঁ করছে।
আরও পড়ুন:Elon Musk: টুইটার অ্যাকাউন্টে ব্লু টিক আছে? এবার থেকে মাসে মাসে পয়সা দিতে হবে!
দুর্ঘটনার খবর দেওয়া হয় সেনাবাহিনীকেও। রাত ৩টে নাগাদ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় সেনাবাহিনী। মেজর গৌরব নামে উদ্ধারকারী দলের প্রধান জানান, আমরা আরও দেহ উদ্ধারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। সেনার সঙ্গে উদ্ধারে সহযোগিতা করছে এনডিআরএফ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এদিন সকাল থেকে সেখানে উপকূল রক্ষী বাহিনীর ৩টি দল পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ডুবুরি, নৌকা এবং অন্যান্য উদ্ধারকাজে ব্যবহৃত সামগ্রী পাঠানো হয়েছে।